তিস্তা নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার সম্ভাবনা ৮ এপ্রিল হাসিনা-মোদির বৈঠকে থাকবেন মমতা
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: আগামী ৮ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে তিস্তা তালিকায় না থাকলেও এই বৈঠকে এ বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বলে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমগুলো প্রকাশ করেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে তিস্তা চুক্তিসহ দুই দেশের অভিন্ন নদীগুলো নিয়ে আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গ সব সময়েই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নরেন্দ্র মোদি চাইছেন দুই দেশের অভিন্ন নদী ব্যবস্থাপনা ও প্রকল্পগুলো নিয়ে মমতাকে সামনে রেখেই বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা হোক। সূত্র মতে, তিস্তা ইস্যুতে মমতা বেঁকে বসেছে এবং তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, তাকে না জানিয়ে এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিলে মমতা তা মেনে নেবে না। এ নিয়ে মমতার সঙ্গে আলোচনা করতে মোদির সরকারের পক্ষ থেকে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়। এমনকি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরে মমতাকে আমন্ত্রণ করা হলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন তিনি আসবেন না।
তবে মমতা গত সপ্তাহে এ প্রসঙ্গে দেশটির গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি বাংলাদেশকে ভালোবাসেন। তবে দেশের স্বার্থ সবার আগে। জানা গেছে, হাসিনার সঙ্গে মমতার সাক্ষাতের জন্য প্রথমেই ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি উদ্যোগ নেন। তিনি শেখ হাসিনার সম্মানে দেওয়া নৈশভোজে মমতাকে আমন্ত্রণ জানালে মমতা তাতে সাড়া দেন। এরপর দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মোদি-হাসিনা বৈঠকে থাকার জন্য মমতাকে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার মমতা বৈঠকে থাকবেন বলে দিল্লিকে জানিয়েছে বলে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, হাসিনা-মোদি বৈঠকে মমতার যোগদান দুইদেশের মধ্যে অমিমাংসিত ইস্যু বিশেষ করে তিস্তার ন্যায্য হিস্যা নিয়ে আলোচনা অবশ্যই প্রাধান্য পাবে। তালিকায় না থাকলেও এ সফরের সময় তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর অববাহিকা ব্যবস্থাপনা, গঙ্গা ব্যারাজ প্রকল্পসহ নানা বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় হবে। বড় নাটকীয়তা হয়, তাহলে তিস্তা চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হতে পারে। সম্পাদনা: এনামুল হক