বিশেষ প্রতিনিধি, নয়া দিল্লি থেকে তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের আগ্রহে বিস্মিত ভারতের কর্মকর্তারা
প্রধামন্ত্রীর দিল্লি সফরের সময় দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতের প্রস্তুত করা আলোচ্যসূচিতে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি নেই। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ৩৩টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এ চুক্তিগুলোর মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নেই। অর্থাৎ শেখ হাসিনার এ সফরে বাংলাদেশের বহু প্রতিক্ষিত তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের আগ্রহে বিস্ময় প্রকাশ করে নয়া দিল্লির সাউথ ব্লকের কর্মকর্তারা বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এ যাবৎকালের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক বিরাজ করছে। শেখ হাসিনার এ সফরে দুদেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক সৃষ্টি হবে। ভারতের কর্মকর্তারা বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ তথ্য ও সম্প্রচার, বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট ও মহাকাশ গবেষণা, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান, ভারতের প্রদেয় তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতা সম্পর্কিত নানা চুক্তি হচ্ছে। অথচ একটি নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ আটকে থাকতে পারে না। এখন হয়তো আলোচনায় তিস্তা নেই। কিন্তু আগামীতে থাকবে।
সাউথ ব্লকের কর্মকর্তারা বলেন, দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলো অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। যাতে উভয় দেশের জনগণ এ চুক্তিগুলো জানতে পারে।
ভারতের কর্মকর্তারা জানান, ভারতের ব্যবসায়ীদের সমাবেশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন। এ সময় বাংলাদেশে ভারতের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের বিষয়ে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে। সম্পাদনা: বিশ্বজিৎ দত্ত