নিউজিল্যান্ডে বন্যা, জরুরি অবস্থা জারি
এম রবিউল্লাহ: অস্ট্রেলিয়ার প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ‘ডেবি’র প্রভাবে প্রতিবেশি দেশ নিউজিল্যান্ডে বন্যা দেখা দিয়েছে। জরুরী অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার। ২ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার রকহ্যাম্পটন শহরের নদীগুলোতে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে।
গত ৫০০ বছরের মধ্যে এটি নিউজিল্যান্ডের ভয়াবহ বন্যা। গত সপ্তায় অস্ট্রেলিয়ার ঘূর্ণিঝড় ডেবির কারণেই নিউজিল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলে এ বন্যা দেখা দিয়েছে। এই দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো বাতাসের কারণে পানি নদীর বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্র ত্রাণ সামগ্রীও পানিতে তলিয়ে গেছে।
বন্যার কারণে নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ শহর এডগেকামবে থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ওই অঞ্চলের নদীগুলোতেও তীব্র স্রোতে পানি প্রবাহিত হতে থাকায় এমনকি ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়াসহ রাস্তাঘাট ডুবে এবং অনেক সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয়দের ট্রাক্টর ও নৌকার সাহায্যে সরিয়ে নেয়া হয়।
গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ায় উপকূলে আঁচড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ডেবি’, যার প্রভাবে নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র বৃষ্টিপাত শুরু হয়। দেশটির সংবাদমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড জানিয়েছে, গত ৩৬ ঘণ্টায় বন্যাদুর্গত অঞ্চলে প্রায় ২৫০ মি. মিটারের মতো ভারী বর্ষণ হয়েছে।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ফিজোরি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রায় ২৯ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। গত সপ্তায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডেবি’ প্রভাবে প্রায় ১২ শ’ কিলোমিটারের মতো বিস্থীর্ণাঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার অ্যানাসতেসিয়া প্যালাস্কজুক বন্যার কারণে আটকে পড়া বিপুল পরিমাণ জলরাশিকে ‘অবিশ্বাস্য’ উল্লেখ করেছেন। দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি, নিউজিল্যান্ড হ্যারাল্ড অবলম্বনে