ভয়াবহ ভূমিধসের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু কলম্বিয়ায়
ডেস্ক রিপোর্ট : কলম্বিয়া কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার ভূমিধসের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাকৃতিক এ ভয়াবহ দুর্যোগে দেশটিতে অন্তত তিন শতাধিক লোক প্রাণ হারিয়েছে। এদিকে ভূমিধসের পর স্থানীয়রা দুর্গন্ধ ও পচাগলা লাশ উপেক্ষা করে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া প্রিয়জনদের দেহাবশেষ খুঁজে বেড়াচ্ছে। ফরাসী বার্তা সংস্থা
মোকোয়া শহর কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে বিল্ডিং কোড মেনে ভবনগুলো তৈরি করেছিল কিনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে সঠিক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় হিসাব নিরীক্ষণকারী এডগার্দো মায়া। তিনি বলেন, ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের শাস্তির জন্য নয়, ভবিষ্যতে এ ধরনের বিপর্যয় প্রতিরোধ করতেই এই তদন্ত করা হবে। যখন এত বিপুল সংখ্যক মানুষ মারায়ে গেছে, তখন আর শাস্তি দিয়ে কি হবে?’
কলম্বিয়ার গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মেয়র জোস এন্টোনিও ক্যাস্ত্রো, আঞ্চলিক গভর্নর সোরেল অ্যারোকা ও তাদের পূর্বসূরিরা পৃথক তদন্তের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন। এদিকে এই ঘটনায় যারা জীবিত রয়েছেন তারা তাদের প্রিয়জনকে খুঁজছে। এখনো তিন শতাধিক লোক নিখোঁজ বা মারা গেছে। তাদের পরিত্যক্ত ও ভাঙাচুরা বাড়িঘরে ব্যাপক লুটপাট চলছে। স্থানীয়রা প্রিয়জনের দেহাবশেষ পাওয়ার আশায় পচা মাংসের দুর্গন্ধ উপেক্ষা করে উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে ভূমিধসে চাপা পড়া বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপ ও কাদামাটি খুঁড়ছে।
৪৬ বছর বয়সী লুইস এডুয়ার্দো জুনিগা ও তার পরিবারের অপর ১০ সদস্যের দেহাবশেষের সন্ধানে তল্লাশি চালানো এক আত্মীয় বলেন, ‘বুধবার থেকে এই স্থানটি খুবই দুর্গন্ধময় হয়ে উঠেছে। এখানে একটি লাশ থাকতে পারে।’ স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১০ ঘণ্টার দূরবর্তী শহর সান্তান্দার ডি কুইলিচাওয়ে থেকে চিকিৎসা ও দমকল কর্মীদের একটি দল সেখানে পৌঁছেছে। বুধবার রাতে কর্মকর্তারা জানায়, মর্মান্তিক প্রাকৃতিক দুর্যোগটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০১ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস জানান, ভূমিধসের পর ২ হাজার ৭শ’ বাসিন্দা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। অন্যান্যরা লুট ঠেকাতে তাদের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের কাছেই অস্থায়ী শিবির স্থাপন করেছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ