খাদ্যশস্য উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : রাষ্ট্রপতি
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কৃষি খাতে উন্নয়নের এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। কৃষিতে অনন্যসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২১ ও ১৪২২ প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি। আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, আবহমানকাল থেকে কৃষির সাথে বাঙালি সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য মিশে আছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি মূলত কৃষি। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে, কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। বৈপরীত্য এ পরিস্থিতিতে বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। সীমিত ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার করে অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ, প্রতিকূল পরিবেশসহিষ্ণু নতুন নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার এখন সময়ের দাবি। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, কৃষি বিজ্ঞানীরা ফল ও ফসলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন কওে দেশে কৃষির উন্নয়নে বিপুল ভূমিকা রাখছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো এবং কৃষি বিষয়ক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষি আধুনিকীকরণ, শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের মাধ্যমে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্যেও জোগান নিশ্চিতকল্পে কৃষক, কৃষি কর্মী, সম্প্রসারণবিদ, বিজ্ঞানী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিরলস অবদান রেখে যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রপতি কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২১ ও ১৪২২ লাভ করেছেন তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এ পুরস্কার তাদেরসহ কৃষি কর্মকা-ের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আগামীতে আরও উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২১ ও ১৪২২ প্রদান কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।