সীমান্তে মাইন অপসারণ করবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার
মাসুদ আলম : বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে শূন্য লাইনের আশপাশে হাতে তৈরি বোমা, গ্রেনেড ও মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো এসব বিস্ফোরক পুঁতে রেখেছে। এগুলোর বিস্ফোরণে সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। পুঁতে রাখা আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) ও মাইন অপসারণে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনিসুর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিজিবি সদর দফতরে সীমান্ত সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ১ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও মিয়ানমারের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফদের মধ্যে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়। মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির চিফ অব পুলিশ স্টাফ ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মেওসেও উইনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নেন। আনিসুর রহমান বলেন, আমরা এর আগেও মিয়ানমারকে ইয়াবা কারখানার একটি তালিকা দিয়েছিলাম। তখন তারা কারখানাগুলোর কোনও সন্ধান পায়নি। এবারও ৪৯টি কারখানার তালিকা দেওয়া হলো। এছাড়া যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অনুপ্রবেশ করেছে তারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারবে। তবে এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত গুলোর মধ্যে রয়েছে- সীমান্তে অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে সহযোগিতা, সীমান্ত এলাকায় শান্তি নষ্ট করতে পারে এমন কাজ থেকে বিরত থাকা, সীমান্ত বিধি লঙ্ঘন না করা, অনিচ্ছাকৃতভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা কোনও নাগরিকের কাছে অবৈধ দ্রব্য না পাওয়া গেলে তার কাছে থাকা জিনিসপত্রসহ তাকে অপর পক্ষের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কাছে হস্থান্তর করা, মানবপাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মত ও উভয় সরকার অন্য কোনও দেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকা-ে পরিচালনার জন্য তাদের ভূমি ব্যবহার করার অনুমতি না দেওয়া। সম্পাদনা: জাফর আহমদ