বাজেট ২০১৭-১৮ ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে!
হাসান আরিফ: আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়তে পারে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। আর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার সর্বোচ্চ করহার কমানোর প্রস্তাব করেছে। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা রয়েছে। বিসিআই সভাপতি মোফা আজাদ চৌধুরী বাবু আগামী বাজেটের সীমা এক লাখ টাকা বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
এছাড়া মহিলা করদাতা ও ৬৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, প্রতিবন্ধী করদাতাদের জন্য ৩ লাখ ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ ২৫ হাজার এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে বিসিআই সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের ওপরে রয়েছে। এই বিবেচনায় করমুক্ত আয়ের সীমা পুনঃনির্ধারণ করার দরকার। এছাড়া নতুন ভ্যাট আইনে মোট বিক্রয় মূল্যের পরিবর্তে নির্ধারিত মূল্য সংযোজন হারের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাবও করেছেন তিনি।
এই ব্যবসায়ী নেতার মতে, ১৫ শতাংশ হারে মোট বিক্রয় মূল্যের ভ্যাট আদায় করলে ৮৫ শতাংশ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই মোট বিক্রয় মূল্যের পরিবর্তে নির্ধারিত মূল্য সংযোজন হারের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করতে পারেন। একই সঙ্গে নতুন ভ্যাট আইনে বার্ষিক টার্নওভার করের ঊর্ধ্বসীমা ৮০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এদিকে এমসিসিআই ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তব দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে যুক্তি দেখানো হয়েছে, বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণি করদাতার ক্ষেত্রে আয়করের সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ, যা অধিক বলে প্রতীয়মান হয়। তাই ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ নির্ধারণের জন্য এনবিআরকে বলা হয়েছে। আগামী বাজেটের জন্য ব্যবসায়ীদের কর সংক্রান্ত এসব প্রস্তাবের বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, তারা এমন কোনো বাজেট করবেন না, যাতে কেবলমাত্র ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। সবার কাছ থেকেই তারা রাজস্ব আহরণ করতে চান। তাই ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে রাজস্ব কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আর বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক কার্যক্রমের ফলে করের আওতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে বলেও তিনি বলেন।