আমার ধারণা ক্ষতিকর চুক্তি করবে না সরকার
রনি বসাক
আমরা যেটা জানতে পেরেছি বাইরে থেকে তিস্তা নিয়ে খুব সম্ভবত কোনো চুক্তিই হচ্ছে বা কোনো আলোচনায় হচ্ছে না প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে। দ্বিতীয়ত হচ্ছেÑ প্রতিরক্ষা চুক্তি। এগুলো আসলে এটা পরিষ্কার বা বিস্তারিত না জানলে সেটা নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা আসলে যতটুকু জানি যে, খুব সম্ভবত এখানে কোনো চুক্তি হবে না। হয়তো সমঝোতা স্বারক হতে পারে। প্রতিরক্ষা চুক্তি সাধারণত পার্শ্ববর্তী দেশে যেমনটা হয় সাধারণত দেখা যায় যে, আন্তর্জাতিক রাজনীতি বা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য অনেক সময় ইতিবাচক প্রভাব বয়ে আনতে পারে। কিন্তু বিস্তারিত কিছু না জানলে আসলে এ বিষয়ে কমেন্ট দেওয়া যাচ্ছে না। তবে আমার ধারণা, বাংলাদেশ সরকার এমন কোনো নীতি বা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করবে না যেটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিপরীতে যায় বা তার জন্য ক্ষতিকর হয়।
আমার যতটুকু ধারণা, তিস্তা চুক্তি সম্পাদন হচ্ছে না। এটার সমস্যা মূলত ভারতের। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং কেন্দ্রীয় সরকার উভয়ই বোধহয় কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। এজন্যই মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে কিছু করার সুযোগ থাকবে না বোধহয়। যেহেতু ভারতই প্রস্তুত হতে পারেনি।
পরিচিতি: সহকারী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাবি
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান