তিস্তা নিয়ে ভারতের আন্তরিকতার অভাব আছে
আলী আকবর
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ভারত একটা ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে এক সময়। এখনো করে। কিন্তু বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের যে দাবি তিস্তা চুক্তি, তার মীমাংসা করা দরকার। দীর্ঘদিন ধরে এই চুক্তিটি আটকে আছে নানা জটিলতায়। ভারতের সঙে আমাদের ৫৪টি আন্তর্জাতিক নদী আছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র একটা নদীর পানি নিয়েই চুক্তি হয়েছে। সেটা হচ্ছে গঙ্গা। আর কোনো নদীর পানি নিয়ে চুক্তি হয়নি। তাই তিস্তা চুক্তি সমস্যার সমাধানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
আমাদের এখানে এখন এমন কোনো থ্রেট নেই যে ভারতের সহায়তা নিয়ে আমাদের প্রতিরক্ষা খাতে শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। এ রকম কোনো বিষয় আমার কাছে মনে হয় না। তবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামো বা যোগাযোগের বিষয়গুলো আমার মনে হয় গুরুত্বপূর্ণ বেশি। বিশেষ করে ভিসার বিষয়। বাংলাদেশিদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে, সেসব প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।তিস্তার বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বারবার অজুহাত দেখাচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এ বিষয়টা চাচ্ছে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যখন সিদ্ধান্ত নিবে তখন মমতা ব্যানার্জিকে সেটা মানতে হবে। তিস্তার বিষয়ে ভারতের একটা সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলে আমার মনে হয়। এখানে তারা মমতার একটা অজুহাতকে বারবার সামনে নিয়ে আসে। এর আগেও যখন বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে তিস্তা নিয়ে তখনো ওই একই ফ্যাক্টর কাজ করেছে। আমার মনে হয়, তিস্তা নিয়ে ভারতের আন্তরিকতার অভাব আছে।
পরিচিতি: সহকারী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাবি
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ/সম্পাদনা: আশিক রহমান