ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষিভিত্তিক ইপিজেড হচ্ছে
সাইফুল ইসলাম প্রবাল চৌধুরি,ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও জেলা তেমন কোন ভারী শিল্প-কারখানা না থাকা ও কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় এ জেলায় কৃষিভিত্তিক ইপিজেড করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাবনাও দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় এই কৃষি ইপিজেড নির্মাণের বা গড়ে তোলার প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এ জেলায় কৃষি ইপিজেড স্থাপন করা গেলে এ জেলায় নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে ও এখানকার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার দ্রুত উন্নয়ন হবে বলে মনে করছেন কৃষক, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, উত্তর জনপদের কৃষিনির্ভর জেলা ঠাকুরগাঁও। এই অঞ্চলের প্রায় ৮৫-৯০ ভাগ মানুষই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। শুধু তাই নয়, এ জেলার উৎপাদিত ফসল ও সবজি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়। এমনকি এখানকার ফসল ও সবজি এখন দেশের বাইরেও রপ্তানি করা হচ্ছে। কিন্তু জেলার উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ বা রফতানির কোনো ব্যবস্থা নেই। কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এখানে গড়ে ওঠেনি কোনো কৃষি ভিত্তিক শিল্প কল-কারখানা । ঠাকুরগাঁও জেলা তেমন কোন ভারী শিল্প-কারখানা না থাকা ও কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় এ জেলায় কৃষিভিত্তিক ইপিজেড করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাবনাও দেয়া হয়েছে। এই কৃষি ইপিজেড নির্মাণের বা গড়ে তোলার প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আবদুল আওয়াল আরো জানান, সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকীয় সংসদীয় স্থায় কমিটির সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন ইপিজেড (এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন) স্থাপনের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। চিঠি পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে ইপিজেড স্থাপনের কার্যক্রম শুরুর জন্য নির্দেশনাও আসে। জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে ইপিজেড স্থাপনের জন্য কাজ শুরু করেছে। প্রায় ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করার কথা জানান তিনি। ইপিজেড স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা ও অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা হবে। এ সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরুও হয়েছে প্রাথমিকভাবে। আমরা আপাতত জমি খোজা ও জমি অধিগ্রহণ ও প্রকল্প পরিকল্পনা তৈরীর প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু করেছি। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র সদয় দৃষ্টি ও এ জেলার সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা পেলে এ জেলায় দ্রুত কৃষি ভিত্তিক ইপিজেড নির্মাণের উদ্যোগ সফল হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে এ জেলায় কৃষি ইপিজেড স্থাপন করা গেলে এ জেলায় নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে ও এখানকার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার দ্রুত উন্নয়ন হবে বলে মনে করছেন কৃষক, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা। তাই অতি দ্র“ততার সাথেই জেলায় কৃষি ভিত্তিক ইপিজেড করার দাবি সকলের। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম, রশিদুল ইসলাম ও আষাঢ়- বর্মন জানান, ঠাকুরগাঁও সদরসহ ৫উপজেলায় তেমন কোন ভারী শিল্প নেই। এ জেলা কৃষি নির্ভর। তাই এখানে কৃষিভিত্তিক শিল্প করখানার প্রয়োজন। এ জেলায় কৃষি ভিত্তিক ইপিজেড গড়ে তোলার উদ্যোগ খুবই সঠিক ও সময়োপযোগি উদ্যোগ। তাছাড়া এখানে গরমে আম, কাঠাল লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরণের মৌসুমি ফল ও ফসল হয়। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান