ছোট মেয়েটা আমাকে ছেড়ে যেতে খুব কষ্ট পায়
বিশ্বজিৎ দত্ত
১৯২০ সালে পূর্ব বাংলার এক ছোট্ট পল্লীতে জন্মগ্রহণ করি। আমার জন্মদিন আমি নিজে কোনোদিন পালন করি নাই। বেশি হলে আমার স্ত্রী আমাকে একটি ছোট উপহার দিয়ে থাকতো। এই দিনটিতে আমি চেষ্টা করতাম বাড়িতে থাকতে। আমি একজন মানুষ আমার আবার জন্মদিন। দেখলাম সিটি আওয়ামী লীগ আমার জন্মদিন পালন করছে। নূরে আলম ২০ সেলে থাকে। ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখি কয়েকটা ফুল নিয়ে আমার ঘরে উপস্থিত। আমাকে বললো, এই আমার উপহার আপনার জন্মদিনে। পরে বাবু চিত্তরঞ্জন সুতার ও বাবু বিমল দত্তও একটি সাদা গোলাপ ও ডিপিআর এমদাদ সাহেব একটি ডালিয়া উপহার দিলেন। বেলা সাড়ে ৪টা বেজে গেল বুঝলাম আজ বোধ হয় রেণু ও ছেলেমেয়েরা দেখা করার অনুমতি পায়নি। ৫টাও বেজে গেল। সেই সময় জমাদার সাহেব এসে বললো, চলুন বেগম সাহেবা ও ছেলেমেয়েরা এসেছে। দেখি সিটি আওয়ামী লীগ বিরাট এক কেক পাঠিয়েছে। আমি ছেলেমেয়েদের চুমা দিলাম। রাসেলকে দিয়েই কেকটা কাটালাম। কিছুটা ভাগ্নে মনিকে পাঠাতে বলে দিলাম জেল গেট থেকে। ও একই জেলে থাকে। ৬টা বেজে গেছে তাড়াতাড়ি রেণুকে ও ছেলেমেয়েদের বিদায় নিতে হলো। আমার ছোট মেয়েটা খুব ব্যথা পায় আমাকে ছেড়ে যেতে, ওর মুখ দেখে বুঝতে পারি। ব্যথা আমিও পাই কিন্তু উপায় নাই। রেণু বড় চাপা, মুখে কিছুই প্রকাশ করে না। সম্পাদনা: গিয়াস উদ্দিন আহমেদ