ব্রিটিশ অভিনেতা টিম পিগোট স্মিথ আর নেই
তানিয়া আলম তন্বী : ব্রিটিশ মুভি ও টেলিভিশন অভিনেতা টিম পিগোট স্মিথ আর নেই। তাঁর পুরো নাম টিমথী পিটার পিগোট স্মিথ ওবিই। তিনি ১৯৪৬ সালের ১৩ মে যুক্তরাজ্যের রাগবিতে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিস্টল ওল্ড ভিক থিয়েটার স্কুলে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বিখ্যাত অভিনেতাদের দলে নাম লেখান টিম। বিখ্যাত এই অভিনেতা ৭ এপ্রিল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০। স্ত্রী অভিনেত্রী পামেলা মাইলস, পুত্র টম স্মিথ ও তাঁর পরিবারকে রেখে যান।
অভিনেতা টিম কতোটা জনপ্রিয় এটা তাঁর সহকর্মী ও ভক্তদের মন্তব্য থেকেই অনুধাবন করা যায়। টিমের এক সহকর্মী গ্রান্ট এক বিবৃতিতে বলেন, টিম তাঁর প্রজন্মের মহান অভিনেতাদের মধ্যে একজন। কর্মক্ষেত্রে আকর্ষণীয় ও তাঁর সহকর্মীদের ভালোবাসা প্রাপ্ত টিমকে সবাই ভদ্র ও সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে মনে রাখবেন। ওয়েস্ট এন্ড ও ব্রডওয়ে থিয়েটারে প্রিন্স উইলিয়াম নাটকে কাজ করার সময় গত মাসে ‘ওবিই’ উপাধি লাভ করেন অভিনেতা টিম। বিবিসির চ্যানেলে ইভলিন ওয়াহের উপন্যাস ডিকলাইন ও ফলে মি. স্নিংসের চরিত্রে সম্প্রতি তাঁকে টেলিভিশনে দেখা গেছে। ডউনটন অ্যাবে ও লুইস নীরবসাক্ষী হিসেবে ও অন্যদিকে মিরান্ডার অন্যান্য প্রযোজনায় তিনি হাজির ছিলেন।
গত মাসে টিম বলেছিলেন, বর্ণবাদী পুলিশ সুপার, ম্যারিক, আইটিভির দ্য জুয়েল এন্ড দ্য ক্রাউনে তাঁর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য ছিল যে,“এটা এমন একটা বিষয় যা আমার জীবন পরিবর্তন করে দিয়েছে। আজ থেকে বহুদিন আগে ১৯৮৪ সালে জীবন ও কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে অভিজ্ঞতায় বিস্ময়কর শর্তাবলী ছিল। এটি সত্যি একটি আন্তর্জাতিক ঘটনা যা সর্বত্র প্রকাশিত হয়েছিল।”
তিনি মার্টিন স্করসেজিস গ্যাং অব নিউ ইয়র্ক, দ্য রিমেইনস অব দ্য ডে ও কুয়ান্টাম অব সোলেস মুভিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি বেশ কিছু কাজ অতি দ্রুত সম্পন্ন করেছেন। ১৯৮০ সালে লন্ডনে ইরানি দূতাবাসে জিম্মি পরিস্থিতি সম্পর্কিত একটি নাটক ছয় দিনে শেষ করেন। অভিনয় ছাড়াও টিম কয়েকটি বইও লিখেছেন। এর মধ্যে ব্যাকার স্ট্রিট মিসটেরিয়াস ও ড্রাগন ট্যাটু বিশেষ উল্লেখযোগ্য। স্কাই নিউজ, সম্পাদনা: এম রবিউল্লাহ