বাংলাদেশের পাটে বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার ভারতের পুনর্বিবেচনায় : হাসিনা
ডেস্ক রিপোর্ট: স্থানীয় পাটের বাজার সুরক্ষায় বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পাট ও পাটজাত পণ্যে ভারতের আরোপ করা বাড়তি শুল্ক পুনর্বিবেচনার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার নয়া দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হায়দ্রাবাদ হাউজে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকের পর তার এই বক্তব্য আসে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিষয়টি নিয়ে মোদীর সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে। তিনি ‘একটি সমাধানের বিষয়ে আশ্বাস’ দিয়েছেন। ভারতের সঙ্গে বাড়তে থাকা বাণিজ্য কমাতেও ‘মূর্ত পদক্ষেপ’ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
বাংলাদেশি উৎপাদকরা পাট রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা পাওয়ায় ভারতীয় পাট মার খাচ্ছে বলে গত অক্টোবরে বাংলাদেশ ও নেপালের পাটজাত পণ্যে প্রতিরক্ষামূলক শুল্ক আরোপের সুপারিশ করে দেশটির অ্যান্টি-ডাম্পিং অ্যান্ড অ্যালাইড ডিউটিজ (ডিজিএডি) অধিদপ্তর। এর ভিত্তিতে গত ৪ জানুয়ারি ভারতের রাজস্ব বিভাগ ‘অ্যান্টি-ডাম্পিং’ শুল্ক আরোপের গেজেট প্রকাশ করে, যেখানে বাংলাদেশ থেকে পাটসুতা, চট ও বস্তা রপ্তানিতে প্রতিষ্ঠান ভেদে প্রতি মেট্রিক টনে ১৯ থেকে ৩৫২ ডলার বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়।
তবে ভারতের আমদানিকারকদের আবেদনে আদালত ১৪ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত নতুন হারে শুল্ক নেওয়ার উপর স্থগিতাদেশ দেয়। কোনো দেশ স্বাভাবিক দামের চেয়ে কম দামে কোনো পণ্য রপ্তানি করলে তাকে ডাম্পিং বলে গণ্য করতে পারে আমদানিকারক দেশ। এ ক্ষেত্রে তারা নিয়ম মেনে বিষয়টি তদন্ত করে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করতে পারে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে, বাংলাদেশ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রায় ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেছে; এর ২০ শতাংশ গেছে ভারতে, যা সেখানকার বাজারের প্রায় আট শতাংশ।