যুক্তরাষ্ট্র আর্মি ওয়ার কলেজ প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ মিশন পরিদর্শন
ডেস্ক রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্র আর্মি ওয়ার কলেজের ২৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন পরিদর্শন করেছেন। জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনের ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গতকাল প্রফেসর জেফ উইলসন এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি মিশন পরিদর্শন করেন।
এসময় স্বাগত বক্তৃতায় মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “বৈশ্বিক শাস্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় নিবেদিত থাকায় জাতীয় প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণ বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য,জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অব্যাহত সুনামের প্রেক্ষিতে এবং পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অংশ হিসেবে প্রতিবছরই ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ মিশন পরিদর্শনে আসেন। ২৫ সদস্যের এই ডেলিগেশনে ওই কলেজে অধ্যয়নরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও রয়েছেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণের ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়” অংশ উদ্বৃত করে চ্যার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেন, ‘জাতির পিতার এই ঘোষণাই আমাদের বৈদেশিক সম্পর্কের মূলনীতি’। উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি অর্জন করেছে মহান স্বাধীনতা। তাঁর প্রদর্শিত পথ ধরে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গভীরভাবে সম্পৃক্ত থেকে বাংলাদেশ বহুপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুসংহত করেছে।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে আমাদের রয়েছে উষ্ণ দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর সাথে আমরা আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সমঝোতা অটুট রেখেছি। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ আজ একটি বিশ্বস্ত নাম। চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা দমনে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা তুলে ধরেন। এছাড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে মর্মে তিনি তাঁর স্বাগত বক্তৃতায় তুলে ধরেন।