মাশরাফির সিদ্ধান্ত সঠিক, কারণ…
রকিবুল হাসান
অবসরের সিদ্ধান্তটি একজন খেলোয়াড়ের একান্তই ব্যক্তিগত। খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করবেন কি না তা সেই খেলোয়াড়ের উপরই নির্ভর করে। খেলোয়াড়ী জীবন একবার শুরু হলে সবাইকেই একদিন না একদিন অবসর গ্রহণ করতেই হয়। প্রত্যেককেই অবসর নিতে হয়। আমি মনে করি, মাশরাফি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন। তার এই অবসর গ্রহণের মধ্য দিয়ে অন্তত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের একটা অধ্যায় শেষ হলো। একজন বিচক্ষণ, সবাইকে উদ্দীপ্ত-উৎসাহ, দলকে উজ্জীবিত করে রাখার মতো গুণধর অধিনায়ককে আমরা বিদায় জানালাম। একটা কথা আছে, ফর্মে থেকেই চলে যাওয়া বা অবসর গ্রহণ করা ভালো। যখন মানুষ কোনো জিনিস এনজয় করে না, তখন সে কাজ না করাই ভালো। ইতোমধ্যে মাশরাফি বলেছেন, তার কাছে এই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটা আর ভালো লাগছে না। সে কারণেই তিনি এই সময়ে সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন। আমি মনে করি, মাশরাফির এটি সঠিক সিদ্ধান্ত। আমরা তাকে একটা বড় স্যালুট দিতে পারি। কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নে, এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদান অনস্বীকার্য।
মাশরাফির অনুপস্থিতিতে দলে নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানি না। তবে এটা ম্যান টু ম্যান ভেরি করে। এক ক্যাপ্টেন আরেক ক্যাপ্টেনের মতো মনমানসিকতার সাধারণত হয় না। যদি এমনই হতো তাহলে সারাবিশ্বের সব ক্যাপ্টেন একই রকম হতো। মাশরাফি ছিলেন একজন প্রেরণাদায়ক ক্যাপ্টেন। তিনি দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। এখন তার গুণাবলি, তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তো অন্যজনের সঙ্গে না-ও মিলতে পারে। না মিলার সম্ভাবনাই বেশি।
এখন টি- টোয়েন্টি দলে নতুন ক্যাপ্টেন আসবেন। অনেক সম্ভাব্য নাম আমরা শুনতে পাচ্ছি। ক্যাপ্টেন যে-ই হোন না কেন, তাকে সফল হতে হলে প্রতিটি খেলোয়াড়ের সম্মান আদায় করে নিতে পারতে হবে। প্রত্যেককে নিয়ে একসঙ্গে চলতে পারতে হবে এবং নিজের নেতৃত্ব, পারফরমেন্স দিয়ে সামনে থাকতে হবে। আশা করি, নতুন নেতা দলের পারফরমেন্সকে আরও ঊর্ধ্বমুখী করবেন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ক্রিকেট আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলেই বিশ্বাস করি।
পরিচিতি: সাবেক অধিনায়ক, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি
সম্পাদনা: আশিক রহমান