অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হলেও মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।
নুরুল আজিজ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকা থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও তিন রাউন্ডগুলি উদ্ধারের ঘটনায় সোনারগাঁ থানার এসআই মাকসুদুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করলেও মূল হোতারা এখনও রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করলেও রহস্য জনক কারনে পুলিশ তাদের গ্রেপতার করছেনা। এতে সাধারণ জনগণের মধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ থানার আজিবপুর গ্রামের মৃত খলিলুল রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান ও কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার নৌনেয়াহার গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রবিউল হোসাইনকে অস্ত্র ও গুলি সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল বিকেলে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানায়, সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম সম্পাদক সফিকুল ইসলাম খান লিটনের সাথে একই এলাকার বিএনপি নেতা ইয়াছিন মুন্সির বালু ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরেই কাঁচপুর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী তারেক মিয়া, আশু মিয়া ও মাহমুদ মিয়া সহ একটি সন্ত্রাসী বাহীনি ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের এনে লিটনকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। তারা বলেন, তারেক, আশু মিয়া ও মাহমুদ মিয়াকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। এদিকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ থানার আজিবপুর গ্রামের মৃত খলিলুল রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান ও কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার নৌনেয়াহার গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রবিউল হোসাইনকে অস্ত্র গুলিসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসা করলেই আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে। সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম সম্পাদক সফিকুল ইসলাম খান লিটন বলেন, আমার সঙ্গে ইয়াছিন মিয়ার দীর্ঘদিন যাবৎ বালুর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। এর জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা ভাড়াটিয়ে সন্ত্রসীদের দিয়ে আমাকে প্রাণে মেরে গ্রেফতার করছেনা পুলিশ। অবিলম্বে তাদের চিহিৃত করে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
সোনারগাঁ থানার ওসি মঞ্জুর কাদের বলেন, যুবলীগ নেতা লিটন খানের হত্যার চেষ্টাকারী দুই সন্ত্রাসীকে অস্ত্র ও গুলিসহ হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের স্বীকারোত্তি অনুযায়ী বাকী আসামীদের গ্রেফতার করা হবে। সম্পাদনা: শাহীন আলম