ভারতের সাথে আওয়ামী লীগ গোলামির চুক্তি করবে না : ওবায়দুল কাদের
শাহীন আলম: ভারতের সাথে আওয়ামী লীগ গোলামির চুক্তি করবে না। দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক রেখেই চুক্তি করা হবে। তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে গোপন রাখার কিছু নাই। জনগণের জন্যে চুক্তি করে গোপন রাখার কাজ শেখ হাসিনা করবে না। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, এ চুক্তি দেখে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিছু না বুঝেই মাঝে মাঝে অন্ধকারে ঢিল ছোড়েন। এখনো কোনো চুক্তিই হলো না, আলাপ-আলোচনাও হলো না, হওয়ার আগে বিরোধিতা করছেন কেন? কি চুক্তি হয় আগে দেখেন, তারপর অন্ধকারে ঢিল ছোড়েন। এটা কি দেশবিরোধী, না দেশের স্বার্থে, জাতীয় স্বার্থে হয়েছে তারপর বলেন। জনগণের স্বার্থে চুক্তি করব জনগণের কাছে চুক্তি গোপন রাখবে এ রাজনীতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা করে না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে গঙ্গার পানি বুঝে নিয়েছি, সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি, ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছি, সমুদ্রসীমায় আমাদের পাওনা বুঝে নিয়েছি এবং এ বন্ধুত্ব রেখে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিও আমরা আদায় করবো। এসব চুক্তিতে অগ্রগতি হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে আরও অগ্রগতি হবে। এটা কেবল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু গালিগালাজ করলে ভারত কিছুই দিবে না। গালিগালাজ করবেন আবার দাবি আদায় করতে চাইবেন তা তো হবে না। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ, গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে ভারতের ধারে-কাছে নাই আমরা।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত পাশে না থাকলে কী হতো ? ইন্ধিরা গান্ধী পাশে না থাকলে কী হতো? আমরা ভুলে যাই। শক্রতা করে দাবি আদায় করা যায় না।
বেগম জিয়াকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, এতো রাগ করেন কেন? মাঝে মাঝে কথা বলুন, অভিমানে কেন দূরে সরে যান? অভিমান ছেড়ে আসুন, বলুন আমি আপনার বন্ধু, বন্ধুর কাছে বলতে অসুবিধা কি? উশা তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দিল্লি, ওয়াশিংটন আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না, আপনারা দুশ্চিন্তা করবেন না। রাজনীতির ইতিবাচক ধারায় আসুন, আগামী নির্বাচনে আপনাদের অংশগ্রহণ করতেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। নাহলে অপনাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। তখন আপনারা সংকুচিত হতে হতে কোথায় পৌঁছাবেন তার শেষ নেই। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না।
তিনি বলেন, বিএনপি শুধু ইস্যু খোঁজে, কুমিল্লার সিটি নির্বাচন নিয়ে কথা বলার সুযোগ না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের চুক্তি নিয়ে বলছেন প্রকাশ্যে চুক্তি করতে হবে। জাতীয় স্বার্থে সামরিক, প্রতিরক্ষা যে কোনো চুক্তিতে সই করতে আমরা রাজি। আপনারা (বিএনপি) কিছু করতে না পেরে ভারতের সঙ্গে অবিশ্বাসের দেয়াল গড়তে চেয়েছিলেন, তাই এখন আপনাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। সমতার ভিত্তিতে, সামঞ্জস্যতা রেখে ভারতের সঙ্গে যে কোনো চুক্তিতে সই করবো। সম্পাদনা: গিয়াস উদ্দিন আহমেদ