তিস্তা চুক্তি নিয়ে যা খুশি করলে হবে না
হায়দার আকবর খান রনো
প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরেও তিস্তা চুক্তির কোনো সুরাহা হলো না। এ নিয়ে শুধু আশ্বাস দিলেই তো হবে না, তিস্তার ন্যায্য শেয়ার আমাদের দিতেই হবে। অর্থাৎ নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে গেলে যে পানি লাগে তা রাখার পর যা থাকবে অতিরিক্ত সেই পানি ডিস্ট্রিবিউট হবে। তিস্তার বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি যদিও বলেছেন, শেখ হাসিনা ও তার সরকারের আমলেই তিস্তা চুক্তি সম্পাদন হবে। এখন কথা হচ্ছেÑ এমন কথা, আশ্বাস তো আমরা অনেকদিন আগে থেকেই শুনে আসছি। কথা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তিস্তা চুক্তি সম্পাদন হচ্ছে না কেন? কেন বারবার তা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে? আমাদের প্রশ্নÑ এই চুক্তি কবে হবে? কবে হবে এটাও আমাদের জানার দরকার নেই। আমরা চাই তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করা হোক। এবং অবশ্যই যেটা ন্যায্য, যেভাবে ন্যায্যতা নিশ্চিত হবে সেভাবেই চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। আশ্বাস নয়, তিস্তা চুক্তির সম্পাদন চাই। তিস্তা চুক্তি নিয়ে যা খুশি করলে হবে না। তিস্তা নয়, জল দিবেন ভিন্ন চারটি নদী থেকে, সেই নদীগুলো সমীক্ষা করে দেখার কথা মমতা বলেছেন। তার এই একদমই ভিত্তিহীন কথা। তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারত সরকার যা করছে সেটা একেবারে আইনবহির্ভূত। এবং এটা আন্তর্জাতিক নীতির লঙ্ঘন। আমি হলফ করে বলতে পারি, আন্তর্জাতিক নীতিতে তারা এমনটি করতে পারে না। এটা অবশ্যই অনৈতিক।
পরিচিতি: প্রেসিডিয়াম সদস্য, সিপিবি
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি/সম্পাদনা: আশিক রহমান