নাগরিকদের বোকা বানাচ্ছে চীন : দালাই লামা
তানিয়া আলম তন্বী: তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা ভারতের সীমান্তে একটি আশ্রমে তার ভ্রমণ সম্পর্কিত মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করে চীনকে। তার এমন অভিযোগে বেইজিংয়ে ওই দাবির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চীনের নাগরিকরা। সূত্র: ফ্রান্স ২৪
৮১ বছর বয়সী তিব্বতের এই আধ্যাত্মিক নেতা ভারতের পাহাড়ঘেরা অরুনাচল প্রদেশের তাওয়াং শহরে সাংবাদিকদের বলেন, আমার সম্পর্কে লোকজনকে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে। আমি কি করছি, কি বলছি তা সম্পর্কে সবার সঠিক ধারণা পাওয়া উচিত। মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সবাইকে বিভ্রান্ত করাটা অন্যায়। দালাই লামা আশা করছেন তার ভ্রমণের সময়ে একজন চীনা কর্মকর্তা তার সঙ্গে থেকে তিনি আদৌ কোনো ভুল করছেন কি না সে সম্পর্কে সত্যতা যাচাই করবেন। চলতি সপ্তায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের কাছে সরকারি প্রতিবাদ জানায় বেইজিং। এতে নয়া দিল্লিকে অভিযুক্ত করা হয়। চীনের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম পরিচালনায় একটি সুদৃঢ় পরিস্থিতির জন্য এমনটাই প্রত্যাশা করা হচ্ছে। কী কারণে চীন এমন মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে সে সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা পাওয়া যায় নি। দালাই লামা অন্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, চীনের ১.৩-৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার সঠিক তথ্য জানার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এক পক্ষের তথ্য দিয়ে তারা নিজেদের লোকজনকেই বোকা বানাচ্ছে।
ভারত সরকার শুদ্ধ ধর্মীয়ভাবে নির্দেশ করে যে দালাই লামা তাওয়াং যাওয়ার পূর্বে চীন এই বিতর্কিত তথ্য ছড়িয়ে দিয়েছে। তবে কিছু বিশ্লেষকরা বলছেন ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতা গ্রহণের আগে নয়া দিল্লিকে চীনের মতো করার জন্য একটি অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় সরকার প্রধান তিব্বতীয় সরকার প্রধানকে আমন্ত্রণ জানান।
দালাই লামা তার ভ্রমণ সম্পর্কিত তথ্যে বলেন, তিনি সর্বদাই ভারতে যাওয়ার আগ্রহ পোষণ করে থাকেন। তবে অতীত সব কিছুই পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেয়। ভারত ও চীনের মধ্যে ১৯৬২ সালে যে সীমানা যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল তার রেশ ধরেই বর্তমানে এই বিতর্ক তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্পাদনা: এম রবিউল্লাহ