ইভানকার ইন্ধনে সিরিয়ায় মার্কিন হামলা
তানিয়া আলম তন্বী: সিরিয়া হামলায় যুক্ত হল রহস্যময় নতুন তথ্য। পূর্বের সব ধারণা উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম কন্যা ইভানকা ট্রাম্পকেই সিরিয়ায় প্রাণঘাতী রাসায়নিক হামলার জন্য দায়ী করা হচ্ছে। সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট
ধারণা করা হচ্ছে ইভানকার প্ররোচণাতেই ট্রাম্পকে গত শুক্রবার সিরিয়ায় মিসাইল হামলার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। তবে ট্রাম্প কন্যা সিরিয়ায় হামলার কারণে ঘটনার পরদিন টুইটারে সমবেদনা প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবারের সারিন গ্যাস হামলায় ইদলিব প্রদেশে শিশুসহ ৭০ জন নিহত হয়। তার সম্পূর্ণ দায়ভার ওবামা প্রশাসনের উপরেই দিয়েছে রাশিয়া ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অন্যদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের হতবুদ্ধি ও দায়িত্বহীনতাকেও দায়ী করা হচ্ছে অনেকাংশে। তবে ইভানকা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে ঘটনার মোড় বদলে গেছে।
ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়া নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে। যে কারণে এ দূর্ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে তিনি ওবামা প্রশাসনের ‘রেড লাইনস’কে দায়ী করছেন। এ ঘটনায় ইভানকার কোনো ধরনের যোগসাজশ নেই।
হামলা সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন, জাতিসংঘে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূথ নিকি হ্যালি, বিট্রিশি প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের মন্তব্য ঘটনায় ইভানকার অস্তিত্ব প্রমাণ করে না।
হামলার সত্যতা প্রকাশে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আলোচনার কমতি নেই। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইট পেন্টাগনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী ওই দিনের অস্ত্র ধর্মঘটের ব্যাপারে অগ্রিম বার্তা পাওয়ার পরেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি।
লন্ডনের সানডে টাইমস পত্রিকায় বলা হয়েছে, ওয়াশিংনে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ড্যারকের কাছে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে একটি বিষয় উল্লেখ করে জানিয়েছেন দূর্ঘটনা সম্পর্কে ইভানকার উদ্বিগ্নতা ও ঘটনার পরদিন টুইটারে সমবেদনা প্রকাশ এটাই প্রমাণ করে সে এই ধরনের কোনোকিছুর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। ওভাল অফিসে ইভানকা উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে আছে। সম্পাদনা: এম রবিউল্লাহ