মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীরা : মো. ছায়েদুল হক
তরিকুল ইসলাম সুমন: বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে বিনিয়োগ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীরা। গতকাল সচিবালয়ে মালয়েশিয়ার সারাওয়াক প্রদেশের কৃষি ও পল্লী অর্থনীতির আধুনিকায়ন বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ওয়াইবি মালক্লোম মুশেন লামোহ এর নেতৃত্বে ৪১ সদস্যবিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহপ্রকাশ করেছেন।
মো. ছায়েদুল হকের সঙ্গে বৈঠকে তারা বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে অর্থবিনিয়োগের সম্ভাব্য খাতসমূহ সম্পর্কে অবহিত হবার জন্য বাংলাদেশে আসেন। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন চেম্বার অব কমার্সের আওতাভুক্ত এসব ব্যবসায়ী কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদসহ নানারকম খাতে অর্থবিনিয়োগ করে থাকেন বলেও অবহিত করেন। মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা বাংলাদেশের মাছ বিশেষত গলদা ও বাগদাচিংড়ি, গোস্ত রপ্তানি, দুগ্ধজাত খাদ্যোৎপাদন, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পশুর টিকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
বৈঠকে জানানো হয় যে, বাংলাদেশ থেকে বিশেষত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহে সনদমুক্ত পদ্ধতিতে মৎস্য রপ্তানি করা হয়। দেশের মাছের গুণগত মানের কারণেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৫ সাল থেকে মৎস্য রপ্তানিতে সকল প্রকার সনদের বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়। সম্প্রতি সীমিত আকারে কুয়েত, আবুধাবী, মালদ্বীপসহ কিছু দেশে গোস্ত রপ্তানি করা হচ্ছে বলেও তাদের জানানো হয়।
মৎস্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশের বাগদাচিংড়ি হচ্ছে সর্বসেরা। তিনি বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে অনুকূল পরিবেশ বিরাজমান থাকায় তাদের বিনিয়োগে উৎসাহ দেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি ডা. মো. আইনুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: এনামুল হক