নির্দেশনাটি ইতিবাচক
শরিফুজ্জামান শরিফ
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর শেষে দেশে ফেরার পরে তার দল বিমানবন্দরে তাকে যে সংবর্ধনা দেবার পরিকল্পনা নিয়েছিল তা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাতিল করা হয়েছে।
খবরটা সবাই জেনেছেন। অনুমান করি, রাস্তায় যানজটে মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনাটি ইতিবাচক। তার দলের অনেকেও প্রধানমন্ত্রীকে এ জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছেন। প্রশ্ন হলো, সোমবারের মতো একটা কর্মদিবসে এমন একটা কর্মসূচি যখন তাদের দল ঘোষণা দিল এরা কি কেউ দুলাইন লিখে বলেছিল, ‘এতে মানুষের কষ্ট বাড়বে?
এ কর্মসূচির দরকার নেই।’ না। কেউ বলেনি। দলের সাধারণ সম্পাদক গত জানুয়ারি মাসে ছাত্রলীগের দুটো কর্মসূচির মাধ্যমে সৃষ্ট যানজটের পরে বলেছিলেন, ছুটির দিনে কর্মসূচি পালনের বিষয়ে তারা বিবেচনা করবেন। কিন্তু সেটা তারা বিবেচনা করেননি, সোমবারে কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া দেখে বোঝা যায়। প্রধানমন্ত্রী কর্মসূচি বাতিলের নির্দেশ না দিলে এ কর্মসূচির জন্য মানুষকে কষ্ট করতে হতো। প্রধানমন্ত্রী একবার বলেছিলেন, তাকে ছাড়া তার দলের সবাইকে কেনা যায়। এখন তো দেখছি, দলটির ভেতরে কেউ সাহস করে বলতেও পারে না যে এ কাজটি করা যাবে না, এ কাজটি করলে মানুষের কষ্ট বাড়বে।
এরা দলের কোনো খারাপ কাজ দেখলে ঘাপটি মেরে থাকে। কোনটা ন্যায়- অন্যায় কোনটি সেটাও জানতে দলের প্রধানের দিকে চেয়ে থাকে! তাদের দলের প্রধান যদি বলেন কাজটি খারাপ তখন এরা হৈহৈ করে সেটা প্রচারে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আবার এই অন্ধ মোসাহেবরা আপনাকে সত্য-ন্যায় শেখাতে আসে!
লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক
ফেসবুক থেকে