তিস্তা নিয়ে আশার আলো আছে
ড. আবদুল্লাহ হেল কাফি
উন্নয়ন ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামাদি কেনার জন্য ভারত যে ৫০০ কোটি ডলার বাংলাদেশকে ঋণ দিল তা অবশ্যই ইতিবাচক। কারণ শুধু ভারত নয়, এর আগে জাপানসহ বহু দেশ স্বল্প সুদে আমাদের ঋণ দিয়েছে। ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তারা যদি আমাদের ঋণ দেয়, সেই ঋণে আমরা যদি উন্নয়ন করি তাহলে তো সেটা অবশ্যই ইতিবাচক। ভবিষ্যতে এ ঋণের পরিমাণ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। একসময় ইউরোপ-আমেরিকা আমাদের ঋণ দিত, এখন ভারত যদি ঋণ দেয় তাহলে সমস্যা কোথায়?
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগে তিস্তা নিয়ে অনেক আলোচনা ছিল। তিস্তা চুক্তি হবে কি, হবে না। ফাইনালি তিস্তা চুক্তি হয়নি। তিস্তা চুক্তি হলে ভালো হতো। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাদের আমলেই (নরেদ্র মোদি ও শেখ হাসিনার বর্তমান শাসনামল) তিস্তা চুক্তি হবে। কাজেই তিস্তা নিয়ে আশার আলো আছে। অনেকসময় বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অনেক সময় লেগে যায়। কিন্তু তিস্তা চুক্তি দুই প্রধানমন্ত্রীর আমলেই হবেÑ একটা আস্থার সম্পর্কের ফলই হবে যদি এই ঘোষণা বাস্তব হয়। নরেন্দ্র মোদি চাচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি যেন তার অনুকূলে থাকে। তিনি তো ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, তিস্তা চুক্তি তার আমলে হবে। তোর্সাসহ চার নদীর কথা তো তিনি বলেননি। সেটা মমতা বলেছেন। যেহেতু মোদি আমাদের আশ্বস্থ করেছেন তার উপর ভরসা রাখা উচিত।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজে এসে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। প্রোটোকল ভেঙে নরেদ্র মোদি এটা করেছেন। কারণ যেখানে একজন প্রতিমন্ত্রী আসেন সেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজে এসেছেন শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাতে। একই সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর গাড়িতে করেই নরেদ্র মোদি অতিথি ভবনে নিয়ে গেছেন। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্ব দরবারে উজ্জল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এমন একটা পর্যায় নিয়ে গেছেন যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার পাশে বসতে বা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে দ্বিধা করেননি। বাংলাদেশকে নরেদ্র মোদি এই সম্মান দিয়েছেন। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক গর্ব ও অহংকারের।
পরিচিতি: অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাবি
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ/সম্পাদনা: আশিক রহমান