৮ মাসে বিদেশে গেছে ৬২ হাজার কোটি টাকা
জাফর আহমদ: আট মাসে দেশ থেকে চলে গেছে ৬২ হাচার ৪০০ কোটি টাকা। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে এ টাকা বৈধভাবে বিদেশে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশে ভ্রমণ বাবদ, দেশে কর্মরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও উপদেষ্টার সার্ভিস চার্জ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ঋণের সুদ বাবদ টাকা,কারেন্ট ট্রান্সফার, মূলধন ফেরতসহ বিভিন্ন খাতের অর্থ। তবে বিদেশে থেকে আমদানি বাবদ পণ্যের মূল্য এর বাইরে রয়েছে। তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের।
বিদেশ থেকে প্রবাসীদের পাঠানো আয় যেমন আসছে। ঠিক তেমনি প্রতিবছর এদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশে বাইরেও চলে যাচ্ছে। এ সব অর্থ বাইরে যাচ্ছে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধপথে। ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি ৮ মাসে ৭,৮১১ মিলিয়ন ডলার অর্থ বাইরে গেছে। এ সব অর্থের মধ্যে বাংলাদেশের পণ্য ও মানুষ পরিবহনের জন্য জাহাজ ও কার্গো ভাড়াসহ বিভিন্ন রকম ভাড়া বাবদ বিদেশে গেছে ১,৯৪০ মিলিয়ন ৬৫ মিলিয়ন ডলার; বিদেশি ভ্রমণ বাবদ বিদেশে গেছে ৩০৪ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার; দেশে কর্মরত বিদেশি কনসালটেন্ট ফিসহ বিভিন্ন প্রকার সার্ভিস বাবদ বিদেশে গেছে ১,১৫৪ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার; বিদেশি ঋণের সুদ বাবদ বিদেশে গেছে ৮০৯ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন ডলার; কারেন্ট একাউন্ট স্থানান্তর হয়েছে ১০২ মিলিয়ন ডলার; বিদেশি বিনিয়োগ বাবদ অর্থ বাইরে গেছে ১০২ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলার; শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাবদ আসা অর্থ বাইরে গেছে ৩৬৪ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন ডলার এবং সরকারি বেসরকারি ঋণের মেয়াদ শেষে অর্থফেরত গেছে ৩,০৩২ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ডলার। তবে বিদেশ থেকে আমদানি পণ্যের মূল্য পরিশোধ বাবদ যে অর্থ বাইরে যাচ্ছে সে অর্থ এ হিসাবের বাইরে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে উল্লেখ করা হয় বিদেশে যাওয়া এ অর্থ ব্যক্তি পর্যায়ে ফরেন একাউন্টের মাধ্যমে বিদেশে গেছে ৮,৪৩২ কোটি টাকা। রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরাই এ টাকা বাইরে খরচ করার জন্য বৈধ পথে নিয়ে গেছে। এর বাইরে ৫৩ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা ব্যাংক ফাইনান্স হিসাবে গেছে। দেশে আমদানি-রপ্তানির কারণে বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি। সেই দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন কনসালটেন্সি বৃদ্ধি এবং গবেষণা সম্মানি বাবদ টাকা বাইরে নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে বিদেশে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকরা বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশে পাঠাচ্ছে। সম্পাদনা: এনামুল হক