৪৮ বছর পর নিজ দেশে ফিরেছেন ভারতীয় দম্পত্তি
ফাইজ হোসেন: দুবাইয়ের মতো সুন্দর শহরে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন অনেকের থাকলেও স্বপ্নটি সবার পূরণ হয় না। তবে ভারতের মাদাভিল পাইঠাল সেতুমাডহাবান (৬৮) নামের এক লোক তার এই স্বপ্ন পূরণ করে ৪৮ বছর পর সোমবার নিজ দেশে ফিরেছেন। আমি আমার জীবনের অনেক সময় দুবাইয়ে কাটিয়েছি। তাই দুবাই আমার জীবনের একটি অংশ বলে জানান মাদাভিল পাইঠাল সেতুমাডহাবান। তিনি আরো বলেন, ১৯৬৯ সালে আমি দুবাইয়ে যাই, তখন দুবাই এয়ারপোর্টি একটি হলের মতো ছিল। তবে এখন দুবাই এয়ারপোর্ট বিশ্বের ব্যস্ততম এয়ারপোর্টের মধ্যে একটি। দুবাইয়ে বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় ও বন্ধুত্ব হয় আমার। যদিও প্রথমে সেতুমাডহাবানের দুবাইয়ের জীবনটি কষ্টের ছিল। তবে ধীরে ধীরে তিনি প্রতিষ্ঠিত হতে সক্ষম হন। প্রথমত সেতুমাডহাবান কোন ভালমানের কাজ করতো না। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে তিনি নিউ ইন্ডিয়া বিমা কোম্পানিতে চাকুরি করেন।
৫ বছর নিউ ইন্দিয়া বিমা কোম্পানিতে চাকুরির পর তিনি অন্য একটি বিমা কোম্পানির ম্যানেজার পদে চাকুরি করেন। এরপর ১৯৮০ সালে তিনি প্যান ফ্রেশ ইন্টান্যাশনাল ট্রেডিং সেন্টারের প্রধান ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন সেখানেই ৩৭ বছর কাজ করেন তিনি।
১৯৭৪ সালে সেতুমাডহাবান দুবাইয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পান। ‘দুবাই-৩৯’ নাম্বারে রেজিস্টার করা তার একটি মটরসাইকেল ছিল যা সেতুমাডহাবান যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতেন। তবে অনেক বছর যাতায়াত করার পরেও দুবাইয়ের কিছু স্থানে যেমন: ম্যারিনা, জুমেইরাহতে তিনি রাস্তা হারিয়ে ফেলতেন। এ বিষয়টি সেতুমাডহাবান জীবনের হাস্যকর ঘটনার মধ্যে একটি। সেতুমাডহাবান তার স্ত্রী ও সন্তান সম্পর্কে জানান, ১৯৭৬ সালে সেতুমাডহাবান তার স্ত্রীকে দুবাইয়ে নিয়ে আসেন। স্ত্রী আসার পর তার স্মৃতিগুলো আরো মধুর হয়েছিল। সেতুমাডহাবান দম্পত্তির দুই সন্তান আছে। দুজনই দুবাইয়ে বড় হয়েছে তারপর যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় চলে যায়। ভারত ফিরে আসার বিষয়ে সেতুমাডহাবান জানান, সেতুমাডহাবান ও তার স্ত্রী দুবাইয়ে বসবাসের ৫০ বছর পূরণের ইচ্ছা ছিল। গালফ নিউজ, সম্পাদনা: এম রবিউল্লাহ