উপকূলীয় শহরের পরিবেশগত উন্নয়নসহ ৮ প্রকল্প অনুমোদন পুলিশ সদস্যদের জন্য আবাসিক সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
সাইদ রিপন: পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, পুলিশ সদস্যদের আবাসিক সংকট নিরসন করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের বিভাগ, জেলা, উপজেলাসহ প্রয়োজনীয় সকল স্থানে পুলিশ ব্যারাক নির্মাণ করা হবে। এছাড়া সরকারি সব কর্মকর্তার জন্য শতভাগ আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশগত অবকাঠামো উন্নয়নে চলমান প্রকল্পে ব্যয় বাড়িয়ে প্রথম সংশোধন করা হয়েছে। দেশের দুই বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ ১০ উপকূলীয় পৌরসভা জলবায়ু মোকাবিলা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। নির্মাণাধীন আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে ভবনের উপরে রিজার্ভার তৈরি এবং বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সোলার স্থাপন করতে হবে। প্রথম সংশোধন করে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি দিবে ২১৫ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৮৪২ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। অনুমোদনের সময় প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ৮৭৪ কোটি টাকা। উপরের প্রকল্পটিসহ গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) তিন হাজার ২৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকার ৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ৪১২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৩৪ কোটি ৫৯ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৮৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের আঞ্চলিক মহাসড়কগুলো চাহিদা অনুযায়ী প্রশ্বস্ত না। ভারী যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত নয়। তাই এসব সড়কের মান উন্নয়নের জন্য সরকারি অর্থায়নে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে খুলনা, কুমিল্লা ও রংপুর জোনে মোট ৪২৫ দশমিক ৪০ কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়ন করা হচ্ছে। তিনটি পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে এই উন্নয়ন করা হবে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো- রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৩ কোটি টাকা। গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প (খুলনা জোন)। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা। গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প (কুমিল্লা জোন)। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৬ কোটি টাকা। গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প (রংপুর জোন)। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯৮ কোটি টাকা। কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট-মিঠামইন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা। বরিশাল মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫২ কোটি টাকা। ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জ দুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ১০ কিলোওয়াট এফ. এম বেতার কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু