ঙ্গবন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুতি করেছিল : প্রধানমন্ত্রী
ইসমাঈল হুসাইন ইমু: সমালোচকরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুতি করেছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নবনির্মিত নিজস্ব ভবনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময়ই বলতেন, স্বাধীন হওয়া ছাড়া আমাদের উপায় নেই। বাংলাদেশ স্বাধীন করার প্রস্তুতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগে থেকেই নিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হলেও পঁচাত্তরে জাতির জনককে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা হয় অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিঃশেষ করে দিতে পঁচাত্তরে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তারপর ইতিহাস পাল্টে গেল, অনেকে ঘোষক হয়ে গেল, যেন বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে দিল, যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। কিন্তু জাতির জনক দীর্ঘ সংগ্রাম করে স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫-এর পর এমন একটা সময় এসেছে যখন মানুষ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কথা বলতে ভয় পেত। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধারা গর্ব ভরে বলতে পারেন আমি মুক্তিযোদ্ধা। সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে, স্বাধীনতা বিরোধীদের তারা প্রধানমন্ত্রী ও উপদেষ্টা বানিয়েছে। রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করেছে, তাদের কারাগার থেকে মুক্ত করে পুনর্বাসন করেছে। যার ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া রাজাকার, আল বদরদের মন্ত্রী বানিয়েছে।
পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনে দেশের ঐতিহ্য-সংস্কৃতিও বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় অভিযোগ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, একাত্তরের সেই ঘাতকদের আবার রাজনীতিতে নির্বাসিত করা হয়। কিন্তু আমরা সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। আমরা এমন সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করেছি, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-েরও বিচার করেছি। এজন্য রায় প্রদানকারী বিচারক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ধন্যবাদ জানিয়েছি। এসব বিচার সম্পন্ন হওয়ার মূল কৃতিত্ব জনগণের বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণই আমাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে বলে আমরা এ বিচার করতে পেরেছি। এজন্য জনগণকেও ধন্যবাদ। সম্পাদনা: এনামুল হক