প্রস্তাবিত আইনে জনস্বার্থ উপেক্ষিত মালিক শ্রমিকের স্বার্থ সংরক্ষিত
শাকিল আহমেদ: সড়ক যোগাযোগ বিভাগের নিতি র্নিধারনি ফোরামসমূহে প্রভাব বিস্তারের কারণে জনস্বাথের্র সিদ্ধান্ত উপেক্ষিত। সেখানে মালিক শ্রমিকের স্বার্থ সংরক্ষিত করা হয়েছে। এর থেকে উত্তোরণ ঘটিয়ে জনস্বার্থ সংরক্ষণের কোনো দিকনির্দেশনা এই আইনে প্রতিফলিত হয়নি বলে মনে করেন যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭ এ যাত্রী স্বার্থ সংরক্ষণ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তিনি।সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেছেন, সড়ক যোগাযোগ বিভাগ সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ না করায় শ্রমিকরা আজ বেপরোয়া। সরকার যাত্রী ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে কোনো সিদ্ধান্ত নিলেই মালিক শ্রমিকরা ধর্মঘটের নামে দেশবাসীকে জিম্মি করছে। একাধিক মালিক শ্রমিক নেতারা সরকারি নীতি নির্ধারণী জায়গায়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চেয়ে মালিক শ্রমিক নেতারা অধিক ক্ষমতাধর। এ কারণে আইনের প্রয়োগ সঠিকভাবে হয় না। তিনি আরো বলেন, বিআরটিএ মাঠ পর্যায়ে জনবল রয়েছে মাত্র পাঁচ শতাধিক। এর বিপরীতে বাংলাদেশে বর্তমানে বৈধ-অবৈধ মিলে যানবাহনের সংখ্য প্রায় ৪০ লাখ। প্রতি একজন কর্মকর্তার পক্ষে আট হাজার যানবাহন কেবল মনিটরিং দুরের কথা গণনা করাও সম্ভব নয়। অন্যদিকে সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের ২১ শত হাইওয়ে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে ২১ হাজার কিলোমিটার মহাসড়ক। প্রতি ১০ কিলোমিটারে একজন পুলিশের পক্ষে আইন প্রয়োগ করা অসম্ভব।