বর্ষবরণে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে লক্ষ্মীপুরে
জহিরুল ইসলাম শিবলু,লক্ষ্মীপুর: বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে লক্ষ্মীপুরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বাঙালি জাতি ওইদিন মেতে উঠবে প্রাণের উৎসব বর্ষবরণে। আর নতুন বছরকে বরণ করতে লক্ষ্মীপুরের শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে চলছে নানা আয়োজন। মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণের প্রস্তুতি চলছে। লক্ষ্মীপুরে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী ও শিল্পীরা। আবহমান বাংলার সংস্কৃতির বিভিন্ন চিত্র ফুটিয়ে তুলতেই তাদের এ ব্যস্ততা। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ফুটিয়ে তুলতে শিক্ষার্থী, সংগঠক ও শিল্পীরা নতুন করে তৈরি করছেন বিভিন্ন মুখোশ, রাখি ও মুকুট।
বৈশাখকে সামনে রেখে ব্যস্ত কুমার পাড়াও। কারণ তাদের তৈরি মাটির তৈজসপত্র, খেলনা দিয়েই বরণ করা হবে পহেলা বৈশাখকে। সেখানে চলছে মাটি দিয়ে খেলনা তৈরির কাজ। বৈশাখী মেলায় যেতে জোরেশোরে চলছে শেষ মুহূতের্র প্রস্তুতি।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ এলাকায় কুমার পাড়া। এখানকার কয়েকটি পরিবার মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত। বৈশাখকে সামনে রেখে কুমার পাড়ায় মাটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে শিশুদের নানা ধরনের খেলনা। খেলনার মধ্যে রয়েছে- বউ, কলসি, ষাঁড়, হাতি-ঘোড়া, হরিণ, খরগোশ, হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, পাখি, ঘর, নৌকা, মাছ ও ব্যাংকসহ নানা শো-পিস।বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন থেকে কয়েক দিন প্রতিবছরের ন্যায় লক্ষ্মীপুরে আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ, পৌর আইডিয়াল কলেজ সংলগ্ন, কালিবাড়ি, দালাল বাজার, কালী বাজারসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় শিশুদের খেলনার পসরা সাজিয়ে বসবেন মৃৎশিল্পীরা। মেলায় রঙ-বেরঙের মাটির খেলনা শিশুদের অন্যতম আকর্ষণ।বৈশাখী মেলাকে ঘিরে মৃৎশিল্প কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। দিন-রাত এখন তাদের ব্যস্ত তার মধ্যে কাটছে। নারী-পুরুষ সবাই সমান তালে ব্যস্ত। বাড়ির উঠানজুড়ে খেলনা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চলছে রঙের কাজ, তুলির শেষ আঁচড়। এরপর বৈশাখী মেলায় বিক্রির জন্য যাবে খেলনা সামগ্রী। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান