বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে চুক্তি প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে
রাশিদ রিয়াজ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে তা প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর শুরুর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী জানিয়েছিলেন, চুক্তি ও সমঝোতার সবই জনগণের সামনে প্রকাশ করবে সরকার। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছিলেন একই কথা।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগে বাংলাদেশ থেকে সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে পৌঁছায়। দেশটির পররাষ্ট্র দফতর থেকে এ প্রতিনিধিদলকে ‘অহঙ্কারের’ সঙ্গে বলা হয়, গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবেই ভারত দুটি দেশের মধ্যেকার চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক পুরোপুরি প্রকাশ করবে। ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হবে।
এরপর গত ৮ এপ্রিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দুটি দেশের মধ্যে কৃত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের তালিকা, যৌথ বিবৃতি ও ১০ এপ্রিল ব্যবসায়ীদের মধ্যে কৃত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, দুটি দেশের মধ্যে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিশদ বিবরণ প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে এবং শিগগিরই তা ওয়েবসাইটে (যঃঃঢ়://সবধ.মড়া.রহ/নরষধঃবৎধষ-ফড়পঁসবহঃং.যঃস) প্রকাশ করা হবে।
শেখ হাসিনার বহুল আলোচিত সফরের সম্ভাব্য চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন ওঠার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তা প্রকাশের কথা জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। ভারত সফর শেষে দেশে ফেরার পর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক প্রকাশ করা হবে কি না। সংসদে তা প্রকাশের সুযোগ আছে কি না। প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কৃত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক নিয়ে লুকানো-ছাপানোর কিছু নেই। সংবিধান অনুসারে কোনো দেশের সঙ্গে চুক্তির বিষয় নিয়ে সংসদে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। অনেকে মনে করছেন রাজনৈতিক বিতর্ক ও সমস্যা যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্যে দুটি দেশের মধ্যে কৃত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক বিস্তারিত প্রকাশ করলে তা নিয়ে বিশ্লেষণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ৭ থেকে ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটি সফর করেন। সম্পাদনা: গিয়াস উদ্দিন আহমেদ