সিলেটে ব্যবসায়ী হেলালের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা
আশরাফ চৌধুরী রাজু, সিলেট : হাইকোর্টে নাম-দস্তগত নকল করে রিট পিটিশন দায়ের করায় সিলেটে জালিয়াতির মামলার আসামি হলেন বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী হাজী হেলাল উদ্দিন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। সিলেটের কোতোয়ালি থানা পুলিশ শুক্রবার মামলাটি রেকর্ড করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে- হাইকোর্টে জালিয়াতির ঘটনা বড় ঘটনা। সুতরাং বিষয়টি তদন্তে প্রমানিত হলে অভিযুক্ত কোনো ভাবেই ছাড় পাবে না।
সিলেটের টুকেরবাজারের মৎস আড়তদার হেলাল উদ্দিন। একই সঙ্গে তিনি সিলেট শহরতলীর টুকেরবাজারের হাজী সফাত উল্লাহ পেট্রোলপাম্পের সত্বাধিকারী। তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির এ মামলা দায়ের করেছেন নগরীর কানিশাইল আবাসিক এলাকার বাসিন্দা নাছির উদ্দিনের ছেলে মাসুম আহমদ। মামলা দায়েরের আগে তিনি কোতোয়ালি থানায় একটি জিডিও দায়ের করেন। ওই ডিজিতে তিনি উল্লেখ করেন- ‘আমাকে বাদী করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু ওই রীট সম্পর্কে তিনি অবহিত নয় কিংবা রীটের বিষয়বস্তু ও বক্তব্যের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
এরপর দায়ের করা মামলা তিনি জানান- তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। সিলেট নগরীর কানিশাইল রোডস্থ বিসমিল্লাহ শপিং কমপ্লেক্সে শাহজালাল গ্রোসারি সপ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্টান রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তার দুলা ভাই মুরাদুর রহমানের মাধ্যমে জানতে পারেন তার নাম ঠিকানা, জাতীয় পরিচয় নম্বর, ব্যবসা প্রতিষ্টানের ট্রেড লাইসেন্স ব্যবহার করে সুপ্রিম কোর্ট বিভাগে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। ওই রীট পিটিশন নং- ৩৫৭৫/২০১৭ ইং। এজাহারে তিনি আরও জানান- অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন তার পূর্ব পরিচিত। এ কারনে টুকেরবাজার মৎস আড়তে একটি দোকান বিক্রির কথা বলে গত ১৫ই মার্চ ৩-৪ জন লোক নিয়ে হেলাল উদ্দিন কানিশাইলে তার ব্যবসা প্রতিষ্টানে আসে। দোকান বিক্রির কথা বলে সে ওই দিন নগদ দেড় লাখ টাকা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যবসা প্রতিষ্টানে লাইসেন্স এর ফটোকপি নিয়ে যায়। পরবর্তীতে হেলাল উদ্দিন সরতলতার সুযোগ নিয়ে উচ্চ আদালতে তার নাম ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে ঐতিহ্যবাহী কাজিরবাজার মৎস আড়তের বিরুদ্ধে ২৩ শে মার্চ রীট পিটিশন করেন। মাসুম এজাহারে উল্লেখ করেন- পরবর্তীতে হাইকোর্টে রীটের ব্যাপারে তিনি হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এজাহারে হাজী হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান মাসুম আহমদ। গতকাল বিকেলে মামলার বাদি মাসুম আহমদ জানিয়েছেন- উচ্চ আদালতে যে রীট করা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। সবকিছু নকল করে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতো বড় ঘটনায় তিনি অবগত না হওয়ায় প্রথমে কোতোয়ালি থানায় সাধারন ডায়েরী করেন।সম্পাদনা: শাহীন আলম