সাভার থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত হচ্ছে
সাইদ রিপন: ঢাকার সাভার থেকে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর ও সদর উপজেলা পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করা হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হবে ২৫৫ কোটি টাকা।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মানিকগঞ্জ হতে হেমায়েতপুরের দূরত্ব কমবে। এবং ঢাকা থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের (এন-৫) একটি বিকল্প সড়ক তৈরি হবে। এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক এন-৫ এর মাধ্যমে যানজট কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। হেমায়তপুর-সিঙ্গাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কটির দৈর্ঘ্য ৩৪ কিলোমিটার। বর্তমানে ১ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে রয়েছে। প্রায় ২ কিলোমিটার পৌরসভায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়া রয়েছে। যার ফলে এ প্রকল্পের আওতায় ৩১ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের উপর গত ১৮ জানুয়ারি পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্তের আলোকে পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ডিপিপি পুনর্গঠন করে পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করেছে। পুনর্গঠিত ডিপিপি অনুসারে প্রকল্পের ব্যয় ২৫৫ কোটি টাকা করা হয়েছে এবং বাস্তবায়ন মেয়াদকাল ধরা হয়েছে জুলাই ২০১৭ হতে জুন ২০১৯ সাল পর্যন্ত। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতায় ৩০০ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে নির্মাণ করা হবে। তারই প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ৩১ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। যা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মানিকগঞ্জ জেলার সাথে হেমায়তপুর উপজেলার দূরত্ব কমে যাবে। এবং ঢাকা হতে মানিকগঞ্জ জেলায় যাতায়াতের বিকল্প সড়ক হিসেবেও এ সড়কটি ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া প্রস্তাবিত এলাকার জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বিধায় প্রকল্পটি অনুমোদন বিবেচনাযোগ্য। প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হলো- ভূমি অধিগ্রহণ, মাটির কাজ, নতুন ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট নির্মাণ, পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ, পেভমেন্ট মেরামতকরণ, বিদ্যমান পেভমেন্ট মজবুতিকরণ, সার্ফেসিং, আরসিসি ইউ ড্রেন নির্মাণ, আরসিসি সসার ড্রেন নির্মাণ, আরসিসি ক্রস ড্রেন নির্মাণ, রোড মিডিয়ান নির্মাণ, আরসিসি বক্স কালভাট নির্মাণ, আরসিসি প্যালাসাইডিং, টো-ওয়াল, জিও টেক্সটাইলসহ কংক্রিট সেøাপ প্রটেকশন, ডাবল কেবিন পিক-আপ এবং ট্রাক ক্রয়। সম্পাদনা: এনামুল হক