মডেল রাউধা হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি
ইসমাঈল হুসাইন ইমু: মালদ্বীপের মডেল রাউধা আতিফ হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রাজশাহী সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল করিম খান জানান, গতকাল শনিবার সকালে মামলাটির তদন্ত কাজ শুরু করা হযেছে। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডির পরিদর্শক আসমাউল হককে। তদন্তের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে রাউধার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ সব আলমত সিআইডির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এগুলো পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
গত ২৯ মার্চ রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রাউধাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তার কলেজ হোস্টেলের কক্ষে। এর ১১ দিন পর ১০ এপ্রিল রাউধার বাবা চিকিৎসক মোহাম্মদ আতিফ রাজশাহীর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি শাহ মখদুম থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। লাশ উদ্ধারের পরের দিন থেকে রাউধার পরিবারের সদস্যরা রাজশাহীতে অবস্থান করেন প্রায় দুই সপ্তাহ। এরপর অন্যরা মালদ্বীপ ফিরে গেলেও তার বাবা বাংলাদেশেই আছেন। রাউধাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রথম থেকেই সন্দেহ করে আসছে তার পরিবার। এ কারণে লাশ রাজশাহীতেই দাফন করা হয়। এ মামলায় একমাত্র আসামি রাউধার সহপাঠী সিরাত পারভীন মাহামুদ। সিরাত ভারতের কাশ্মীরের মেয়ে। রাউধা ও সিরাত উভয়ই ওই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
রাউধার বাবা সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ফরেনসিক বিভাগেও পড়াশোনা করেছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তার মনে হয়েছে রাউধার গলায় যে দাগ রয়েছে তা ওড়না পোঁচানোর দাগ নয়, সেটা দড়ির দাগ। আমার মেয়ে রাউধাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই।
এদিকে, রাউধার মৃত্যুর কারণ খুঁজতে রাজশাহী যান মালদ্বীপের দুই পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিয়াজ ও আহমদ আলী। তারা রাউধার পরিবার, সহপাঠী, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও রাজশাহীর পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। সম্পাদনা: গিয়াস উদ্দিন আহমেদ