বড় বাজেটের পক্ষে, বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন সিপিডির
জাফর আহমদ: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সম্প্রসারণশীল হওয়া সম্ভব তবে বড় বাজেট বাস্তবায়নে অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমরা সস্প্রসারণশীল বাজেটের পক্ষে এবং আমরাও গবেষণায় দেখেছি বড় বাজেট সম্ভব। বড় বাজেট দিলে উন্নয়ন আকাক্সক্ষা পূরণ হবে, বিনিয়োগ চাঙ্গা হবে, জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়বে। গতকাল রোববার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে আগামী অর্থবছরের বাজেট কেমন হওয়া উচিত এ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির পক্ষ থেকে সুপারিশ উপস্থাপন অনুষ্ঠানে সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সংস্থার গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান।
নতুন ভ্যাট আইনের বাস্তবায়নকে সমর্থন করে সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ আইনের ফলে সরকারের আয় বাড়া শুরু করলে ভ্যাটের হার বিদ্যমান ১৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচায বলেন, নতুন ভ্যাট আইনের বাস্তবায়নকে সমর্থন করে সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ আইনের ফলে সরকারের আয় বাড়া শুরু করলে ভ্যাটের হার বিদ্যমান ১৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত। সামনে জাতীয় নির্বাচন থাকায় সরকার বড় বাজেটই দেবে বলে আমরা মনে করছি। কিন্তু আমরা একই সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বড় বাজেট বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ছে না। ফলে বাজেট বাস্তবায়নে আরও সিরিয়াস ভূমিকা পালন করতে হবে। এ সময় বাজেট বাস্তবায়নে জবাবদিহিতার ঘাটতি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বড় বাজেট বাস্তবায়নে সিপিডির বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরে দেবপ্রিয় বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে ব্যক্তি খাতে ব্যাপকহারে বিনিয়োগ বাড়ছে। সরকারের উচিত এটাকে সমর্থন দেওয়া। আর সমর্থন দিতে সরকারকে জ্বালানি তেলের দাম কমাতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে সমর্থন দিতে হবে। আমরা নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নকেও উৎসাহ দিচ্ছি তবে আমরা মনে করি এই আইন থেকে যখন আয় বাড়বে তখন ভ্যাটের হার বিদ্যমান ১৫ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত।
প্রতিবছরই সরকার বড় বাজেটের নাম করে একটি কল্পকাহিনী উপস্থাপন করে এমন অভিযোগ করে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেট দেওয়ার আগে নানান জল্পনা-কল্পনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। বাজেটও দেওয়া হয় সাধ্যমতো, কিন্তু বছর শেষে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মধ্যে বড় ধরনের ফারাক দেখা যাচ্ছে। এটা এক ধরনের আর্থিক ভ্রম। বাজেট দেখে মনে হয় বড়, আসলে কিন্তু বড় নয়।
ব্যাংকিং খাতের দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে রাজনীতিকরা জড়িত বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাত খুবই দুর্বল রয়েছে। এর জন্য এ খাত সংস্কারে কমিশন গঠন জরুরি কিন্তু তা আদৌ সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। কারণ ব্যাংকিং খাতে দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে, সামাজিক মর্যাদা আছে। এই কারণে নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার হয়তো কোনো ঝুঁকি নিতে চাইবে না। সম্পাদনা: গিয়াস উদ্দিন আহমেদসমালোচকরাই
ব