অনন্য, অসাধারণ একটি উদ্যোগের ফল
সৈয়দ হাসান ইমাম
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পরিসরে বড় করার জন্য সরকারকে অনেক ধন্যবাদ। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উদ্ভোধন খুব সুন্দর হয়েছে। এই কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িতদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা। তারা স্মৃতির এই জাদুঘরকে খুব ভালোভাবে চালাবে বলে আমি মনে করি। আমার মতে, একটি নিয়ম করা উচিত যেন দেশের প্রতিটি স্কুল তাদের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর দেখতে নিয়ে আসে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নতুন প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধকে জানার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শুধু নতুন প্রজন্মের কাছেই নয়, এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী প্রতিটি নাগরিকের কাছেই এই জাদুঘর একটা গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে কাজ করবে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর দেখে নতুন প্রজন্ম অনেক কিছুই জানতে পারবে। পাঠ্যবই পড়ে যা জানতে পারবে তার চেয়ে বেশি জানতে পারবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শন করে। সেজন্যই আমার প্রস্তাব দেশের প্রতিটি স্কুলই নিয়ম করে, বাধ্যতামূলকভাবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শিক্ষার্থীদের পরিদর্শনের ব্যবস্থা করে। এটা প্রতিবছর, প্রতিটি স্কুলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এটা বান্দরবানের স্কুল হোক আর ঢাকা মহানগরের স্কুলÑ প্রত্যেক স্কুলের জন্যই বাধ্যতামূলক করা উচিত।
ট্রাভেলিং মিউজিয়ামের দিকেও আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। বাস দিয়ে, ট্রেনে করে কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের নিদর্শনগুলো স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েদের সামনে তুলে ধরতে হবে। ভ্রাম্যমাণ এ রকম একটা কিছু চালু করা উচিত বলে আমি মনে করি। এই জাদুঘরের মাধ্যমে অনেক অজানা তথ্য আমরা জানতে পারব। এ ধরনের জাদুঘর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরও বেগবান করবে বলে আমি মনে করি। মানুষ গর্ববোধ করবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম গর্ববোধ করবে যে, আমাদের পূর্বপুরুষরা প্রবল শক্তিশালী অপশক্তিকে পরাজিত করে এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। এটা আমাদের জন্য অনেক গর্বের। আনন্দের। ভালোলাগার। নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শনের মাধমে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমার ধন্যবাদ। তারা অসাধারণ,অনবদ্য একটা জিনিস আমাদের জন্য করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর অনন্য, অসাধারণ একটি উদ্যোগের ফল। আমরা আনন্দিত এই জাদুঘর পেয়ে।
পরিচিতি: সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি/সম্পাদনা: আশিক রহমান