অবৈধ টমটম বাণিজ্যে বাড়ছে যানজট ও দুর্ঘটনা
ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার : ব্যাটারী চালিত ৩ চাকার গাড়ি টমটমই এখন যত মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন দিন বাড়তে থাকা এই টমটমের কারণে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে বাড়ছে যানযট। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। পৌরসভা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লাইসেন্সদারী টমটম রয়েছে আড়াই হাজার। কিন্তু শহরে টমটম রয়েছে ৬ হাজারেরও বেশি। এসব অবৈধ টমটম ধরে ৫শ’ থেকে ২২শ’ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। পরে আবার ধরছে এবং ছাড়ছে। আর এই জরিমানার টাকা কোথায় যাচ্ছে আদৌ কেউ জানে না। বিআরটিএ ও পৌরসভাও জানে না। এমনকি ওই টাকার রশিদও দেওয়া হচ্ছেনা। যদিও টমটম চালকদের বলা হচ্ছে এসব টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে ট্রাফিকই সৃষ্টি করেছে নতুন আইন। শহরের টমটম লিংক রোডের পরে যেতে পারবে না। যদিও টমটমই হচ্ছে অবৈধ গাড়ি। আর এই অবৈধ টমটম নিয়ে বাণিজ্য করছে খোদ দমনকারীরা। যারা নিজেদের সুবিধার জন্য টমটম দুূর্ভোগ বাড়িয়েছে। এমনটাই অভিযোগ সচেতন মহলের। বিআরটিএ বলছে, টমটম একটি অযান্ত্রিক যান। এই টমটমের লাইসেন্স আর জরিমান কোন বৈধতা নেই। এর পরেও ট্রাফিক পুলিশ কিভাবে জরিমানা নেয় তা জানা নেই। পৌর-মেয়র স্বীকার করে বলছেন, টমটমের কোন লাইসেন্স দেওয়া যায় না। তবে জনস্বার্থে এবং টমটমের সংখ্যা কমাতে পৌরসভার পক্ষ থেকে আড়াই হাজার টমটমের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বৈধ-অবৈধ মিলে ৬ হাজারেরও বেশি টমটম চলছে শহরে। ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে জরিমানার নামে হয়রানি করার বিষয়টি তিনি শুনেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের প্রয়োজনের তুলনায় বেড়ে গেছে টমটম। যেসব টমটমের কারণে প্রতিনিয়ত লেগে রয়েছে যানজট। এই যানজটের দৃশ্য বেশি দেখা যায় ভোলাবাবুর পেট্টোল পাম্প থেকে কালুর দোকান পর্যন্ত । অনেক সময় এই যানজট আরো দীর্ঘ হয়ে যায়। আবার পর্যটকের সংখ্যা বাড়লে কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে বেড়ে যায় যানজট। এদিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, দৈনিক বেশ কয়েকটা টমটম দুর্ঘটনা ঘটছে। উড়না প্যাঁচিয়ে পর্যটকের মৃত্যু ছাড়াও ঘটছে বড় বড় দুর্ঘটনা।সম্পাদনা : শাহীন আলম