যেভাবে চলছে সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড
মিন্টু বালা : ১৯৫৪ সালে ইস্টবেঙ্গল সংস্কৃত অ্যাডভাইজারি কমিটি নামে বর্তমান বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড-এর যাত্রা শুরু হয়। ১৯৬১ সালে এটি ইস্ট পাকিস্তান অ্যাডভাইজারি কমিটি নামে পরিবর্তিত হয়। ১৯৬৫ সালে ইস্ট পাকিস্তান সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড গঠন করা হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনের পর সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে এ বোর্ডের নাম হয় বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডের অধীনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট সংখ্যা ২২৭টি, সংস্কৃত ১৩৩টি এবং পালি ৯৪। শিক্ষকের সংখ্যা ৪৫৪ জন। এ বোর্ডের অধীনে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আসন সংখ্যা ১০,১৮৪। বোর্ডের শিক্ষর্থীরা আদ্য, মধ্য ও উপাধি ডিগ্রি লাভ করে থাকেন। এ ডিগ্রি ধর্মীয় শিক্ষক হওয়ার সহায়ক শক্তি ছাড়া আর কোনো কাজে আসে না। সংস্কৃত ও পালি প-িতদের জন্য নির্ধারিত কোনো বেতন কাঠামো নেই। মাসিক থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়। শিক্ষক ও কর্মচারীদের নামমাত্র মাসিক ভাতা শিক্ষা মন্ত্রণালয় কতৃক শিক্ষা অধিদফতরের মাধ্যমে প্রদান করা হয়ে থাকে। এ বোর্ডের অধীনস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি দেওয়া হয় যা দেশের প্রচলিত কোনো ডিগ্রি বা সনদের সমতুল্য বিধান করা হয়নি।
বোর্ডের সচিব অধ্যাপক নিরঞ্জন অধীকারি বলেন, আমাদের বোর্ডে অধীনস্থ শিক্ষার্থীদের সনদ বা ডিগ্রি দেশের প্রচলিত ডিগ্রি বা সনদের সমতুল্য বিধানের জন্য আমরা বহুবার উদ্যোগ নিয়েছি কিন্তু সরকারের সদিচ্ছা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বাস্তবায়িত হয়নি। বোর্ডের নিজস¦ অর্থায়নে ভবন নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে অনেক বার জায়গা চেয়েছি কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, দেশি ও বিদেশি ডিগ্রি, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেটের সমতা নির্ধারণকল্পে বাংলাদেশ বিশ্বদ্যিালয় মঞ্জুরি কমিশনের ১৯৯৬ সনের সুপারিশ বাস্তবায়ন ও শিক্ষকদের বেতন বাস্তবসম্মত করলে আমরা প্রথম ধাপ অতিক্রম করব, বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের মতো বিষয় যোগ করে আমরা সমতা বিধান করতে চাই। কিন্তু পিছে ভয় এই যে, আমাদের বোর্ডটি একেবারে বিলুপ্ত না হয়।
পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়–য়া বলেন, বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড অবশ্যই বৈষম্যের স্বীকার, আমরা বহুবার শিক্ষাবোর্ডে মহাপরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে বসেছি, জাতীয় নয় আন্তর্জাতিক মানের সিলেবাসও আমরা উপস্থাপন করেছি কিন্তু কোনো সুফল আসেনি। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী॥