নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা অর্থমন্ত্রী-ব্যবসায়ীদের অবস্থান বিপরীতমুখি
হাসান আরিফ : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, নতুন ভ্যাট আইন আগামী ১ জুলাই থেকেই কার্যকর হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি পুরোপুরি অনড়। তবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, তারা জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার। ফলে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ তাদের দেখতে হবে। তাই এই বিষয়ে আবারো আলোচনা হবে। আর এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ীদের দাবি পুনর্বিবেচনা করার মতো সুযোগ এখনো অর্থমন্ত্রীর আছে।
গতকাল বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা এসব তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সালমান এফ. রহমান ও কাজী আকরামউদ্দিন আহমেদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ১ জুলাই থেকেই ভ্যাট আইন কার্যকর হবে। সেক্ষেত্রে হার হবে ১৫ শতাংশ। এর কোনো বিকল্প নেই। সব জেলা আর গ্রাম পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা হবে। তাদেরকে (ব্যবসায়ী) অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সমস্যার কয়েকটার সমাধান তিনি দিয়েছে আর কয়েকটার দেননি। এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবি অর্থমন্ত্রী পুনর্বিবেচনা করবেন বলে আশা করেন। তার কাছে এখনো সে সুযোগ আছে। বিষয়টি তারা বৈঠকে উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, এই সেক্টরে ২ কোটি ২৪ লাখ লোক রয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় আমরা ভ্যাট পাই খুবই কম। তারপরও ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য তারা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবারো আলোচনায় বসবেন।
১ জুলাই থেকে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে আপনাদের আপত্তি আছে। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তারা চান তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হোক। আর তিনি ব্যবসায়ীদের সেন্টিম্যান্ট উপেক্ষা করবেন না বলে তার প্রত্যাশা।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ব্যবসাবান্ধব সরকার অবশ্যই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং সবার মঙ্গল হয় এমন সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। সরকারের এই মেয়াদেরও সময় প্রায় শেষ। কাজেই এসব বিষয় মাথায় রেখে ভ্যাট আইন কার্যকরের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী ইতিবাচক সিদ্ধান্তই নেবেন বলে তিনি আশা করছেন।