ডিসেম্বরেই সবার হাতে স্মার্টকার্ড দিতে ইসির বাড়তি পরিকল্পনা
সাইদ রিপন : চলতি বছরের ডিসেম্বের মধ্যেই দেশের ৯ কোটি ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড দিতে বাড়তি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য দ্রুত অবশিষ্ট ব্ল্যাঙ্ক স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্য ফ্রান্সের অবারথো টেকনোলজিসকে সময়ও বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল আগারগাঁস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশনে আইডিয়া প্রকল্পের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ফ্রান্স থেকে ৯ কোটি ব্ল্যাংক কার্ড আসার কথা। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এসেছে প্রায় ৫ কোটি ২০ লাখ। আমরা বাকি কার্ড চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে দিতে বলেছি এবং তারাও এই সময়ের মধ্যে তারা কার্ড দিবে বলে লিখিতভাবে জানিয়েছে। তারা যদি যথাসময়ে কার্ড না দেয় তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে চুক্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। তিনি আরও বলেন, এ বছরের মধ্যেই সব নাগরিকের হাতে কার্ড পৌঁছে দিতে হলে আমাদের বাড়তি আরও ১৮টি প্রিন্টার মেশিনের প্রয়োজন। পাশাপাশি আগে ১০টি মেশিনে এক শিফটে কাজ করা হতো। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই শিফটে প্রিন্ট করা হচ্ছে। এখন সবগুলো দিয়ে তিন শিফটে কাজ করতে হবে। তবে কার্ড বিতরণ হবে থানা অফিস থেকে। তাই আমরা উপজেলা পর্যায়ে এই কাজের জন্য সক্ষমতা বাড়ানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। তিনি জানান, যারা স্মার্টকার্ড পাচ্ছে তাদের তথ্য অসম্পূর্ণ। অসম্পূর্ণ তথ্যের কারণে কার্ড প্রিন্ট হচ্ছে না। এই কার্ডের স্থায়িত্বকাল ১০ বছর। কার্ড দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ৭৫ দিন আগে সংশোধনের সুযোগ দিয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে। ৯ কোটির পর বাকিদের বিষয়ে কমিশন কি ভাবছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অবারথো টেকনোলজিসের সঙ্গে চুক্তি করেছি ৯ কোটির জন্য। সর্বশেষ হালনাগাদের তথ্য অনুযায়ী দেশে ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ১৭ লাখ। বাকিদেরকে দেশে তৈরি স্মার্টকার্ড দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফেক্টরির সঙ্গে চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ৩০ এপ্রিল এ বিষয়ে আমাদের মিটিং রয়েছে। সেখানে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে আশা করি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলে ৭৪টি সংস্থা এই ইসির তথ্য ভা-ার ব্যবহার করছে। এছাড়া তিনটি বিদেশি দূতাবাস এটা ব্যবহারের জন্য আবেদন করেছে। জাতীয় ও ব্যক্তি নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি ভেবে দেখছি। তারা কতটুকু পর্যন্ত এক্সেস করতে পারবেন তা সুক্ষ্মভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকায় এ পর্যন্ত ৫৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়েছে। প্রথম দিকে এটি কম নাগরিক নিলেও পরবর্তীতে তা বেড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান, এনআইডি উইংয়ের পরিচালক (অপারেশন্স) আবদুল বাতেন, কমিউনিকেশন অফিসার মো. আশিকুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট সবাই। সম্পাদনা: এনামুল হক