শেখ হাসিনা শফী হুজুরের কথা কেন শুনছেন?
আশীফ এন্তাজ রবি
গ্রিক ভাস্কর্য এবং কওমি সার্টিফিকেটÑ এই দুই বিষয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে পুরোপুরি একমত। যারা একমত না, তাদের মুরোদ কতটুকু? এক. তারা ফেসবুকে আমাকে গালি দেবেন কিন্তু রাস্তায় নামার ইচ্ছা এবং মুরোদ কোনোটাই তাদের নেই। দুই. আবার যারা আমাকে লাইক দেবেন, তাদের মুরোদ পুরোটুকু। তারা লাইক দিতে পারেন, রাস্তায় নেমে শাপলা চত্বর দখল করতে পারেন, আরও দশজনকে দাওয়াত দিতে পারেন রাস্তায় নামার জন্য।
ভাই রে, শেখ হাসিনা কি করছেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ না। আপনি নিজে কী করছেন, এটাই আসল কথা। হেফাজতের তুলনায় আপনার মুরোদ কতটুকু? আপনি রাস্তায় নামবেন? শাপলা চত্বর দখল করার সামর্থ্য আপনার আছে? যেদিন আপনি আপনার মুরোদ দেখাবেন, সেদিন আপনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শেখ হাসিনাও তার মুরোদ দেখাবে। শুধু হাসিনা নয়, আপনার মুরোদের শক্তি বেশি হলে খালেদাও আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে। এরশাদকেও পাবেন। নিজের মুরোদ বাড়ান! ফেসবুক মুরোদ দেখানোর জায়গা না। ভাস্কর্যের জন্য অত দরদ থাকলে মাঠে নামেন। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে নামেন। হাতে হাত ধরে বলেন, আমরা ভাস্কর্য সরাতে দেব না।
আপনার দলটি যেন ওদের দলটার চেয়ে বড় হয়। তাইলে রাষ্ট্র আপনার পাশে।
পারবেন এটা করতে? না পারলে লজ্জার কিছু নেই, চেষ্টা করেন। ভালো বই লিখেন, সিনেমা বানান, আপনার আইডিয়া চারিদিকে ছড়িয়ে দিন। এইভাবে একদিন আপনার মুরোদ গড়ে উঠবে। তখন আপনার কথা মানুষ শুনবে, এমনকি শেখ হাসিনাও শুনবে। শেখ হাসিনা শফী হুজুরের কথা কেন শুনছেন? না রে ভাই, শেখ হাসিনা শফী হুজুরকে পছন্দ করেন না। কিন্তু শফী হুজুরের ক্ষমতা অগ্রাহ্য করার সাহস উনার নেই। পারলে আপনি এমন শক্তি হোন, যাতে আপনার শক্তিকে শেখ হাসিনা তোয়াক্কা করতে বাধ্য হোন।
শেখ হাসিনা কে জানেন? আপনার এবং আমার আয়না। আপনি যা করবেন, উনি তাই করবেন। আপনি ডরাইলে, উনি ডরাইবেন। আপনি সাহস করলে, উনি সাহসী হবেন। এবার আপনি ঠিক করেন, আপনি কি করবেন? মাঠে নামবেন? নাকি বিবৃতি দেবেন? লাইক দিবেন, না রাস্তায় নামবেন? আমি আর আপনিইÑ বাংলাদেশ।
লেখক: সাংবাদিক ও উপস্থাপক
ফেসবুক থেকে