জনগণের ভোগান্তি বাড়ানো হচ্ছে
হায়দার আকবর খান রনো
সিটিং সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু ভাড়াটা তো আর কমেনি। এর ফলে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের জন্য গণপরিবহনের সুন্দর একটা ব্যবস্থা দেখছি না। সিটিং সার্ভিস বন্ধ করলেও আগে যে ভাড়া নেওয়া হতো, এখনো সেই ভাড়াই নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে নৈরাজ্য। সব মিলিয়ে জনগণের ভোগান্তি ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছে না।
সিটিং সার্ভিস বন্ধের অভিযানে যাত্রীরা খুব একটা সুবিধা পাচ্ছে বলে মনে হয় না। এগুলোর জন্য মালিক পক্ষ আর সরকার দায়ী। এই সংকট নিরসনের জন্য দরকার স্বদিচ্ছা। বাধ্যতামূলকভাবে ভাড়া কমাতে হবে। বাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ঢাকা শহরের মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা করা সরকারের দায়িত্ব। কম ভাড়ায় বাস সার্ভিস চালু করতে হবে। সরকারি পরিবহন বা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পরিবহনগুলো গেল কোথায়, সেগুলোর তো কোনো পাত্তা নেই। বিআরটিসি বাসগুলো কোথায়, সেগুলোও তো নেই। এর কারণ হচ্ছে বেসরকারি বাস মালিকদের এখানে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এর নাম সমাজতন্ত্র হতে পারে না। সমাজতন্ত্রের নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ছেলেখেলা করা হচ্ছে। এবং জনগণের ভোগান্তি বাড়ানো হচ্ছে।
পরিচিতি: প্রেসিডিয়াম সদস্য, সিপিবি
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি
সম্পাদনা: আশিক রহমান