সোনারগাঁয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ পারাপারের নৌযান বন্ধ
নুরুল আজিজ চৌধুরী,নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার কৃষকদের ফসলী জমি থেকে অবৈধ জোর পূর্বক ফসলী জমির মাটি কেটে নেওয়ার প্রতিবাদে এলাকাবাসীরা বালু সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে বালু সন্ত্রাসীদের সাথে গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন গ্রামবাসী আহত হয়েছে। পরে পাঁচগ্রামের কয়েক হাজার নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে বালু সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দিলে বালু সন্ত্রাসীরা জীবনের ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে নুনেরটেক এলাকা থেকে বৈদ্যের বাজার এলাকাদিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন নৌযান পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে বালু সন্ত্রাসীরা।
এতে ওই এলাকার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ আটকা পড়ে। গতকাল সকালে কয়েকটি ড্রেজার একত্রিত হয়ে নুনেরটেক এলাকায় কৃষকদের জমির মাটি জোর পূর্বক কেটে নেওয়ার সময় এলাকাবাসীরা তাদের বাধা দিলে বালু সন্ত্রাসী নবী হোসেনের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আক্তার হোসেন, আব্দুল হক, মহিউদ্দিন মিয়া, মনির হোসেন ও হালিম মিয়াকে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। এ সময় ছড়িয়ে পরলে নুনেরটেক, সবুজবাগ, চুয়াডাঙ্গা, রগুনাথপুর, টেকপাড়া ও গুচ্ছগ্রাম সহ প্রায় পাঁচ গ্রামের কয়েকশত নারী পুরুষ লাঠিসোটা নিয়ে বালু সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দেয়। এতে বালু সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে নুনেরটেক এলাকা থেকে বৈদ্যের বাজার এলাকাদিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন নৌযান পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে বালু সন্ত্রাসীরা। গ্রামবাসী ও ভূক্তভোগীরা জানায়, মেঘনা নদীর সবগুলো বালু মহল ইজারা বাতিল করা হলেও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরবর্তী নুনের টেক আশ পাশ এলাকায় ইজারা ছাড়াই আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গ্রামগুলোর পাশ ঘেষে ও ফসলী জমি থেকে গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ২৫-৩০টি ড্রেজার একত্রিত হয়ে প্রতিদিন ৩-৪ লাখ টাকার বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকে। অবৈধ বালুর টাকা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের মধ্যে ভাগ ভাটোয়ার হচ্ছে। সম্পাদনা : শাহীন আলম