রায়ের বাজার স্মৃতিসৌধে খাবার নিয়ে প্রবেশ নয় : গণপূর্তমন্ত্রী
ফারুক আলম : রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে কোন প্রকার খাবার নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। পানির বোতল নিয়ে প্রবেশেও বাঁধা দিতে হবে। এখানে দর্শনার্থীরা ঘুরবে, দেখবে এবং স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবে। খাবার নিয়ে বা পানির বোতল নিয়ে এখানে প্রবেশ করে যত্রতত্র উচ্ছিষ্ট ফেলা হয়। এ স্থানকে পরিচ্ছন্নতা, ভাবগাম্ভির্যতা ও পবিত্রতা বজায় রাখতে সকল উদ্যোগ নিতে হবে।
গতকাল গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে এসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ দেন। এখানে সৌন্দর্যবর্ধনে বাগান নির্মাণের নির্দেশ দেন। এ সময়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ঊষালগ্নে এদেশকে মেধাশূন্য করতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আলবদরা বৃদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে রায়ের বাজার ও মিরপুরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ স্থানের সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস জড়িত। ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং দেশপ্রেম জাগ্রত হবে।
তিনি আরও বলেন, এ স্থান অপরিচ্ছন্ন ও যথেচ্ছা ব্যবহার করা হলে নতুন প্রজন্ম এ স্থানের গুরুত্ব বুঝতে পারবে না। এ স্থানের ইতিহাস সম্পর্কে জানারও কোন আগ্রহ থাকবে না। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় স্থানটি অবহেলা অযতেœ পড়ে ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে এ স্থানটিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন। বিভিন্ন সময়ে অবহেলার কারণে এখানে পশুপ্রাণি চড়ানো হতো এবং ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করতো। সে সব দূর করে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসের অন্যতম স্থান হিসেবে এর মর্যাদা রক্ষার করার জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।