লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আইটি খাতে নগদ প্রণোদনার দাবি
ফারুক আলম : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত থেকে ২০২১ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফটওয়্যার ও আইটি কোম্পানিগুলোকে রপ্তানিতে উৎসাহিতসহ ৪০ শতাংশ নগদ অর্থ প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তফা জব্বার।
গতকাল এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় বেসিসের পক্ষ থেকে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্কসহ ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন তিনি। বেসিসের সভাপতি বলেন, ভ্যাট আইনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনে সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ভ্যাট মওকুফ। সুলভে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে এনটিটিএনের পক্ষ থেকে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি করছি।
ইন্টারনেট মডেম, ইন্টারনেট ইন্টারফেস কার্ড, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সুইচ, হাব, রাউটার, সার্ভার, ব্যাটারিসহ সকল ইন্টারনেট ইকুইপমেন্টের ওপর বর্তমান আরোপিত ২২ দশমিক ১৬ শতাংশ ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার। একইসঙ্গে বিদেশি উৎপাদিত ডিজিটাল ডিভাইসের ওপর শুল্ক আরোপ করে দেশীয় যন্ত্রাংশ কাঁচামালকে সম্পূর্ণ শুল্ক ও ভ্যাট মুক্ত, মোবাইল এক্সেসরিজের উপরে ন্যূনতম শুল্কহার ধার্য, গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাদির আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ রাখাসহ অপটিক্যাল ফাইবার ও ফাইবারস বান্ডেল ও ক্যাবলসের ওপর হতে শুল্ক প্রত্যাহার দাবি জানিয়েছেন মোস্তফা জব্বার।
বেসিস সভাপতি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি বিষয় হচ্ছে যদি দেশে ব্রডব্রান্ডের প্রসার শতকরা ১০ ভাগ হয় তাহলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ১ ভাগ। দেশে ইন্টারনেটের ওপর দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট-শুল্ক বসিয়ে একটি ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি করে রেখেছে। এটি জিডিপির প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।
এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এনবিআর সদস্য (মূসকনীতি) ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, পারভেজ ইকবাল (করনীতি), লুৎফর রহমান (শুল্কনীতি) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : শিমুল মাহমুদ