আসাদ সরকারই ইদলিবে রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে : ফ্রান্স
শাহীনা আক্তার: সিরিয়ায় বিদ্রোহী অধ্যুষিত ইদলিবে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারই রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালিয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে ফ্রান্স। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-মার্ক আইরল্ট বুধবার এলসিপি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আসাদ সরকার যে রাসায়নিক গ্যাস হামলা করেছে তার প্রমাণ ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রয়েছে। তুরস্ক ও ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা রাসায়নিক হামলার বিষয়ে তদন্ত করছে। ফ্রান্সের কর্মকর্তারাও তদন্ত করছে । তদন্ত শেষে আমাদের কর্মকর্তারা রাসায়নিক হামলার প্রমাণ তুলে ধরবে।
এ মাসের শুরুতে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবের শেখুইনে বিমান থেকে চালানো রাসায়নিক গ্যাস হামলায় নারী ও শিশুসহ ৮৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ক্ষমতাসীন আসাদ সরকার এই রাসায়নিক হামলার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। দামেস্কসহ তার মিত্র রাশিয়া ও ইরানের দাবি গতানুগতিক বিমান হামলার একটি ভূলবশত খান শেখুইনের নিকটবর্তী আল-কায়েদার একটি অস্ত্রাগারে আঘাত হানলে বিস্ফোরণ ঘটে। গত সপ্তায় একজন মার্কিন কর্মকর্তারাও দাবি করেছিলেন আসাদ সরকারের মিত্র রাশিয়া ওই রাসায়নিক হামলা সম্পর্কে অবগত ছিল। এরপর গত ৭ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সিরিয়ার আল শায়রাত বিমানঘাঁটিতে ৫৯ টি টমাহুক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। সিরিয়ায় গৃহ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া প্রথম প্রত্যক্ষ প্রতিবাদ।
ওই হামলায় সিরিয়ার ৬ জন কর্মকর্তা নিহত হলেও রাশিয়ার কোন কর্মকর্তার হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালেও আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তবে সাম্প্রতিক হামলার পর সত্যিই সিরিয়া সরকার রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে কি না তার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি উঠেছে।
আসাদ সরকারের সিরিয়ায় রাসায়নিক গ্যাস হামলার আর্ন্তজাতিক তদন্তের দাবির প্রেক্ষিতে এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের অংশগ্রহণে তদন্ত হতে হবে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের সঙ্গে যুক্ত রাষ্ট্রপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নয়। দ্য ইন্ডেপিনডেন্ট , সম্পাদনা: এম রবিউল্লাহ