জসিম উদ্দিনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার এফবিসিসিআই নির্বাচনে সফিউল ইসলামের নেতৃত্বে একক প্যানেল
জাফর আহমদ : দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ২০১৭-১৮ সাধারণ নির্বাচনে সমঝোতার মাধ্যমে একক প্রার্থী হলেন বর্তমান সহসভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। এফবিসিসিআই সাবেক সহসভাপতি জসিম উদ্দিন সভাপতির প্রার্থী ঘোষণা দিলেও ব্যবসা-বাণিজ্যের ‘মুরব্বি’দের অনুরোধে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
গতকাল বিকেলে ‘সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদ‘ ব্যানারে এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতিরা সভাপতির নাম ঘোষণা করেন। এসময় সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্যানেলের চেম্বার ও এসোশিয়েশনের প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করেন।
‘সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদ‘ প্যানেল ঘোষণা অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান বলেন, সম্মিলিতভাবে সফিউল ইসলামকে সভাপতি হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। অপর প্রার্থী জসিম উদ্দিনকে অনুরোধ করে নির্বাচন থেকে বিরত রাখা হয়েছে। তিনি এখন সফিউলের পক্ষে কাজ করবেন। তিনি বলেন, সরাসরি নির্বাচনের দাবি ছিল ব্যবসায়ীদের। বাণিজ্যমন্ত্রীও এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। আগামী নির্বাচন হবে সাধারণ ভোটের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচন। সফিউল ইসলামের নেতৃত্বে এফবিসিসিআই নেতারা সংস্কার করবেন।
ঢাকা উত্তরের মেয়র ও এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি আনিসুল হক বলেন, ভালো ব্যবসায়ী ভালো নেগোশিয়েটর, ভালো মানুষ, তিনি ভালো কথা বলে থাকেন। আগামীতে ৮/৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করতে হবে। অর্থনীতিকে ওই উচ্চতায় নিতে হলে শীর্ষ ব্যবসাী সংগঠন হিসেবে এফবিসিসিআই সভাপতির পদ ‘ম্যাটার’ করে।
সাবেক সভাপতি নাসির বলেন, ২০২১ সালের মধ্য আয়ের দেশ করতে হলে বেসরকারি খাতকেই ভূমিকা রাখতে হবে। আর সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবেন। শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন হিসেবে এফবিসিসিআই এসবের মধ্যে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।
একে আজাদ বলেন, অনেকেই এফবিসিসিআই এর আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান। আমরা নানামুখি চিন্তা-ভাবনা করে এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই ও ভালো মানুষ তাদের প্যানেলভুক্ত করা হয়েছে। তবে প্যানেলের বাইরেও কেউ নির্বাচন করলে করতে পারেন। যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন তারাই এফবিসিসিআই পরিচালনা করবেন।
সম্মিলিত গণতান্ত্রিক পরিষদের ব্যানারে এসোশিয়েশন ও চেম্বারভুক্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। এসোসিয়েশনের প্রার্থীরা হলেন খোন্দকার মইনুর রহমান, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, শাফকাত হায়দার, আবুল আয়েস খান, মুনতাকিম আশরাফ, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, আমজাদ হোসেন, সফিকুল ইসলাম ভরসা, আবু মোতালেব, হাবিব উল্লাহ ডন, খোন্দকার রুহুল আমিন, নিজামুদ্দিন রাজেশ, আব্দুল হক, হাফেজ হারুন, শমি কায়সার, আবু নাসের এবং রাশেদুল হাসান।
চেম্বার থেকে প্রার্থী হলেনÑ হাসিনা নেওয়াজ, মো. নিজাম উদ্দিন, আলহাজ আজিজুল হক, দিলীপ কুমার আগরওয়াল, মাসুদ পারভেজ খান, একেএম শহীদ রেজা, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, শেখ ফজলে ফাহিম, মো. রেজাউল করিম রেজনু, গাজী গোলাম আশ্রিয়া, আলহাজ শেখ আব্দুল হামিদ, তাবারুকুল তোসাদেক হোসাইন খান, মো. কোহিনুর ইসলাম, প্রবীর কুমার সাহা, মো. আতাউর রহমান ভুইয়া, আলহাজ মো. বজলুর রহমান, খাইরুল হুদা চপল এবং আবুল কাশেম আহমেদ। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু