নজরদারি বাড়াতে মাদক সন্ত্রাসীদের তথ্য অনলাইনে : ডিজি
মাসুদ আলম : মাদক সন্ত্রাসীদের উপর নজরদারি আরও সহজ করতে তাদের হালনাগাদ তথ্য শিগগিরই অনলাইনে আসছে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা কাজ করছি। গত এক মাসে অধিদফতরের সামগ্রিক পরিকল্পনা এবং কাজে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। গত এক মাসে বিভাগীয় মামলা হয়েছে ৭ জনের বিরুদ্ধে। ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদক উদ্ধারের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থাটির মহাপরিচালক সালাহউদ্দিন মাহমুদ। গত ২৮ মার্চ ডিএনসির নতুন মহাপরিচালক হিসেবে যোগদানের পর গতকালই প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য উপাত্ত আছে। এটা অনলাইনে এলে অন্য বাহিনীর সঙ্গে কানেক্ট করা সহজ হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের নজরদারি আরও সহজ হবে, এখনো আমরা নজরদারি করছি। অধিদফতহরের সকলকে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, টেকনাফের মিয়ানমার সীমান্তের ২৫টি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা ঢুকছে। সেখানে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা অভিযান চালাই। মাদকের বড় চালান উদ্ধারে আমাদের সাফল্য নেই। তবে গোয়েন্দা তথ্য প্রদানের কাজ আমরাই করছি। টেকনাফ এলাকায় বিশেষ জোন গঠন করে অভিযান চালানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসি পরিচালক (অপারেশন ও গোয়েন্দা) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত এক বছরে প্রায় ১০ হাজার আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। গত মার্চ মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ৬৬ হাজার ১৮১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। অনুমোদিত বারেও অভিযান চালানো হয়। অনুমোদনের বাইরে যদি কেউ মাদক বিক্রি করে ও কোনো বিধিমালা ভঙ্গ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ