খাপড়ার লড়াই থেকে নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান সিপিবির
রফিক আহমেদ : বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি’র) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ খাপড়া ওয়ার্ডের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। সোমবার এ যৌথ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় শহীদদের প্রতি এ শ্রদ্ধা জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াই আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ পর্ব। খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াই আজও আমাদের উজ্জীবিত করে, পথ দেখায়। শুধু ইতিহাসকে জানার জন্যই নয়, ভবিষ্যতের দিশা পাবার জন্যও খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াইকে অনুধাবন করা জরুরি। খাপড়া ওয়ার্ডের গৌরবোজ্জ্বল কাহিনী ও শিক্ষা সবখানে ছড়িয়ে দিতে হবে। তারা খাপড়া ওয়ার্ডের শহীদ-যোদ্ধাদের আদর্শ, লড়াই ও আত্মত্যাগ থেকে নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
খাপড়া ওয়ার্ড শহীদ দিবসে সোমবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি’র) একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী জেলের অভ্যন্তরে খাপড়া ওয়ার্ড শহীদ স্মৃৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন।
খাপড়া ওয়ার্ড শহীদ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র উদ্যোগে সোমবার, বিকেল ৫টায় মুক্তিভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে (২ কমরেড মণি সিংহ সড়ক, পুরানা পল্টন, ঢাকা) এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, আজ সোমবার ঐতিহাসিক খাপড়া ওয়ার্ড শহীদ দিবস। ১৯৫০ সালের এই দিনে রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডে কমিউনিস্ট রাজবন্দীদের ওপর পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। তৎকালীন মুসলিম লীগ সরকারের রক্তের হোলি খেলায় ঝরে যায় ৭টি বিপ্লবী প্রাণ। বন্দী অবস্থায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হন কমিউনিস্ট পার্টির কর্মী সুধীন ধর, বিজন সেন, হানিফ শেখ, সুখেন্দু ভট্টাচার্য, দেলোয়ার হোসেন, কম্পরাম সিং ও আনোয়ার হোসেন।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর কমিউনিস্ট পার্টির নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন বাড়তে থাকে। কমিউনিস্ট বন্দীদের দ্বারা ভরে যায় পূর্ববাংলার কারাগারগুলো। অত্যাচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে জেলের মধ্যেই আন্দোলন শুরু করেন কমিউনিস্ট বন্দীরা। উত্তেজিত ও বেসামাল হয়ে সরকার কমিউনিস্ট বন্দীদের ওপর দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। প্রতিবাদে বিভিন্ন জেলে কমিউনিস্ট বন্দীরা অনশন করতে থাকেন।