প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে কক্সবাজার
ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার : কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার ৪১ টি ইউনিয়ন কম-বেশি দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। এইসব এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রায় প্রতিবছরই ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে। বিগত দুই বছরে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগে এলাকাগুলোতে অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে লাখো মানুষ।
উপকূলের ভাঙা-বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ ওই শঙ্কাকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখার হিসাবে বিগত ২০১৬ সালে ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৬ সালে ঘুর্ণিঝড় কোমেনের কারণে মৃত্যু হয় ১৮ জনের। এছাড়াও বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। পানিতে তলিয়ে যায় ফসলি জমি, লবনের মাঠ। দীর্ঘদিন পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করে লাখো মানুষ। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আব্দুর রহমান জানান, কক্সবাজার জেলায় ঘুর্ণিঝড়, আকষ্মিক বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, পাহাড় ধ্বস, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল, বজ্রপাত, নদী ভাঙন, ভূমিকম্প প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
জেলার ৭১টি ইউয়িন ও ৪টি পৌরসভার মধ্যে ৪১টি ইউনিয়নই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি ইউনিয়ন বেশি দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়ন রয়েছে ১৭টি। এইসব এলাকায় দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তিনি কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সভায়। প্রস্তাবনাগুলো হলো- বিদ্যমান বেড়িবাঁধ সমূহ মেরামত, আশ্রয়কেন্দ্র সমূহ সংস্কার, দুর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ, বিদ্যমান সøুইচ গেইট সমূহের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ। জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখার হিসেব মতে, চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে চারটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে তিনটি, কম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ১২টি। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান