এক-দেড় মাস পর আরও কমবে হৃৎপি-ের রিং : মূল্য নির্ধারণ করায় ৫০ ভাগ মূল্য কমেছে
রিকু আমির : হৃদপি-ের স্ট্যান্টের সর্বোচ্চ যে খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, আগামী এক-দেড় মাস পর সে মূল্য আরও কমবে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক ও করোনারী স্ট্যান্টের মূল্য নির্ধারণ এবং নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য গঠিত ১৭ সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান রোববার বিকালে দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, ২০১২ সালেও স্ট্যান্টের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা তো এখন চলবে না। তাই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এটাই যে একদম চূড়ান্ত, তা কিন্তু নয়। এটা আপাততঃ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যেসব দেশের, যেসব কোম্পানির স্ট্যান্ট আমদানিকারকরা এদেশে আনছে, সেসব কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে উৎপাদন ব্যয়, ট্রানশিপমেন্ট খরচসহ সব ধরনের খরচ সম্পর্কে জানা হচ্ছে। তারপর আমাদের ১৭ সদস্যের কমিটি তা আবার রিভিউ করবে। এরপর তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে চূড়ান্ত করতে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে ন্যূনতম আরও এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। জোর আশা করা হচ্ছে- এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বর্তমানে স্ট্যান্টের যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তার থেকেও মূল্য আরও কমবে। করোনারী স্ট্যান্টের মূল্য নির্ধারণ এবং নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য গঠিত ১৭ সদস্যের কমিটি এ পর্যন্ত তিনটি বৈঠক করেছে। প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে ১১ এপ্রিল। এরপর ১৯ এপ্রিল ও সর্বশেষ গতকাল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
করোনারী স্ট্যান্টের সেবা প্রদানকারী হাসপাতালগুলো বরাবর চিঠি দিয়ে আমাদের নির্ধারিত মূল্য জানিয়ে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- সেই মূল্য অনুযায়ী স্ট্যান্ট বিক্রি করতে। একইসঙ্গে যেন মূল্য তালিকা হাসপাতালে টাঙ্গিয়ে রাখার নির্দেশনাও দেয়া আছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- স্ট্যান্ট সেবা প্রদানকারী হাসপাতালগুলোয় নির্ধারিত মূল্য তালিকা টাঙ্গিয়ে রাখতে হবে। এ নির্দেশনা গত শনিবার থেকে কার্যকর করতে বলেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
১৭ সদস্যের কমিটিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, কাস্টমস, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, স্ট্যান্ট আমদানিকারকরা আছেন।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে পাওয়া একটি নথি এসেছে দৈনিক আমাদের অর্থনীতির কাছে। নথি অনুযায়ী- প্রতিটি স্ট্যান্টের সর্বনি¤œ মূল্য ১০ হাজার ৯৪৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ ৪৯ হাজার ৮৯১ টাকা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হিসেবে দেখা গেছে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান রোববার বিকালে দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, স্ট্যান্টের মূল্য প্রায় ৫০ ভাগই কমে গেছে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র যে মূল্য নির্ধারণ, তা কিন্তু নয়। স্ট্যান্টের প্যাকেটের গায়ে পণ্য সম্পর্কে সব তথ্য লেখা থাকতে হবে। যেমন : উৎপাদন তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য, কোন দেশের ইত্যাদি। অর্থাৎ একজন ক্রেতা যেন তার পণ্য সম্পর্কে সব কিছু জানতে পারেন। আগে একজনকে স্ট্যান্ট পরানো হলে সে নিজ চোখে দেখে জানতে পারত না সেই স্ট্যান্ট সম্পর্কে। সম্পাদনা : এনামুল হক